দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমেছে। তবে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে এখনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বইছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এটাই চলতি বছরের সবচেয়ে কম সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সোমবার সকালে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল যা ছিল ১২ দশমিক ৩।
ঘন কুয়াশার কারণে গত কয়েকদিন ধরে সূর্য না ওঠায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যববধান কমে তীব্র হয়েছিল শীত। এখন সেই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা বেড়ে কমছে শীতের তীব্রতা। সোমবার সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রোদ উঠেছে। রোববার টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যদিও ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রিতে নেমেছিল।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে ও দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
হাফিজুর রহমান আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।