Can't found in the image content. দর হারাচ্ছে ফ্লোর প্রাইস না থাকা শেয়ার | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

দর হারাচ্ছে ফ্লোর প্রাইস না থাকা শেয়ার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ৮, ২০২৩

দর হারাচ্ছে ফ্লোর প্রাইস না থাকা শেয়ার

ফাইল ছবি

ঢাকার শেয়ারবাজার ডিএসইতে এখন তালিকাভুক্ত শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ৩৯১টি। এর মধ্যে ২৩২টিকে দরপতন থেকে সুরক্ষা দিতে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে রেখেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এর মধ্যে ১৭৩টি ফ্লোর প্রাইস বা নিম্নসীমায় আটকে আছে। লেনদেন বাড়াতে গত ২১ ডিসেম্বর বাকি ১৬৭ শেয়ারের ওপর থেকে আরোপিত ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় সংস্থাটি। এর পর থেকে এসব শেয়ারের সিংহভাগ ক্রমাগত দর হারাচ্ছে।

এক বাজারে দুই নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শেয়ারবাজার-সংশ্নিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইসকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার স্থবির। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত দরকার। একই বাজারে কিছু শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস থাকা আর কিছু শেয়ারে না থাকাকে বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিএসইসির বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন এ সংস্থারই সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি সমকালকে বলেন, এক বাজারে একই বিষয়ে দুই রকমের নিয়ম করার সুযোগ নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে সব বিনিয়োগকারী ও? সব কোম্পানি? সমান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন বৈষম্য করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ব্লক মার্কেটে বড় বিনিয়োগকারীরা ফ্লোর প্রাইসের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে শেয়ার কেনাবেচার সুযোগ পাচ্ছেন, মধ্যবিত্তরা বা অপেক্ষাকৃত অল্প টাকার বিনিয়োগকারীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর ১৬৭ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১০৪টির ১ থেকে ১৬ শতাংশ দর কমেছে। বিপরীতে ২৫টির দর ১ থেকে ২৬ শতাংশ দর বেড়েছে। অবশ্য এর মধ্যে নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ১৩২ শতাংশ। বাকি ৩৭টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, যে ২৩২ শেয়ারে এখনও ফ্লোর প্রাইস কার্যকর আছে, সেগুলোর সিংহভাগ ফ্লোর প্রাইসেই আটকে আছে। অর্থাৎ এসব শেয়ারের দর অপরিবর্তিত। এমন শেয়ারের সংখ্যা ১৭৩টি। তবে ফ্লোর প্রাইস থাকা ৪৬টি শেয়ারের দর থেকে ১ থেকে ১৪ শতাংশ বেড়েছে। ১ থেকে ২০ শতাংশ দর হারিয়েছে ১৩টি শেয়ার।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া ১৬৭ শেয়ারের মধ্যে দেশ গার্মেন্টস প্রায় ১৬ শতাংশ দর হারিয়েছে গত দুই সপ্তাহে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার আগে শেয়ারটির দর ছিল ১৫০ টাকা ৪০ পয়সা। গত বৃহস্পতিবার তা ১২৬ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে এসেছে। দরপতনে এর পরের অবস্থানে আছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস। এ শেয়ারটির দর ১ হাজার ৬৮৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে ১ হাজার ৫৪২ টাকায় নেমেছে। রিলায়েন্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডটির দর ১০ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে ৯ টাকা ৯০ পয়সায় নেমেছে। একইভাবে বিডি অটোকার, অ্যাপেক্স স্পিনিং, বঙ্গজ, ইমাম বাটন, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, শ্যামপুর সুগার, স্টাইল ক্রাফট, অলিম্পিক অ্যাক্সেসরিজ, উসমানিয়া গ্লাস, হামিদ ফেব্রিক্স, মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, জিকিউ বলপেন ৮ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে।

বিপরীত চিত্রও অবশ্য আছে। তালিকাভুক্তির পর ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের দরবৃদ্ধির ধারা এখনও অব্যাহত আছে। তবে পুরোনো কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। ফ্লোর প্রাইস তোলার আগে এ শেয়ারটি ৭ টাকা ৮০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার এ শেয়ারটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৯০ পয়সায় কেনাবেচা হয়েছে। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর সাড়ে ১০ শতাংশের ওপর বেড়েছে। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৮ শতাংশ। এফএএস ফাইন্যান্স, বিডিকম এবং সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।

ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকা শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্থান-পতন দেখা যাচ্ছে ওরিয়ন ইনফিউশনের ক্ষেত্রে। শেয়ারটির দর গত দুই সপ্তাহে ২০ শতাংশ কমেছে। গত ২১ ডিসেম্বর শেয়ারটি সর্বশেষ ৫৭১ টাকা ১০ পয়সা দরে কেনাবেচা হয়েছিল। সর্বশেষ কেনাবেচা হয় ৪৫৬ টাকা ১০ পয়সায়। এ ছাড়া মুন্নু সিরামিকের দর ৯ শতাংশ কমে ১২১ টাকায়, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের দর সাড়ে ৫ শতাংশ কমে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়, বিডি মনোস্পুল পেপারের দর ৫ শতাংশ কমে ২৬৭ টাকা ২০ পয়সায় নেমেছে। ফরচুন শুজ, কপারটেক, জেমিনি সি ফুডসও এ ধাক্কায় দর হারিয়েছে। বিপরীতে একই সময়ে ১০ থেকে ১৪ শতাংশ দর বেড়েছে ফ্লোর প্রাইস কার্যকর থাকা এডভেন্ট ফার্মা, সি পার্ল, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মো প্লাস্টিক কোম্পানির শেয়ারের দর।