Can't found in the image content. মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৪৪ অভিবাসী আটক | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৪৪ অভিবাসী আটক

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, জানুয়ারী ৭, ২০২৩

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৪৪ অভিবাসী আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৪৪ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরের দিকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান ইম্বিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এ সময় দেশটিতে ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ভ্রমণ নথি এবং সামাজিক ভ্রমণ পাসের অপব্যবহারের জন্য বাংলাদেশিসহ ৫৪৪ জনকে আটক হয়েছে। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে সেই তথ্য এখনো জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া অভিযানের সময় মিয়ানমারের চীন জাতিগত গোষ্ঠীকে শরণার্থী কার্ড দেওয়ার একটি অনিবন্ধিত সংস্থার কার্যকলাপ উদঘাটন করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল যাইমি দাউদের নেতৃতে দেশটির জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের ৪৩ জন কর্মীর সহায়তায় ১১৫ জন অভিবাসন পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

আটক বিদেশিদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। আটকদের সবার বয়স ১ থেকে ৬৮ বছরের মধ্যে।

তাদের মধ্যে প্রথমে ১ হাজার ৫১ জনের নথিপত্র পরীক্ষা করা হয় এবং দেশটিতে থাকার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ৫৪৪ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য তাদের সবাইকে বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে। আটকদের মধ্যে চীন জাতি গোষ্ঠীর ১ থেকে ১০ বছর বয়সী ৩০ জন শিশু রয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, অনিবন্ধিত সংস্থাটি ২০০৯ সালে থেকে ওই এলাকার একটি ফ্ল্যাটে এই কার্যকলাপ করে আসছিল। সংগঠনটির অফিসে তাদের নিজস্ব মেশিন ব্যবহার করে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত নয় এমন কার্ড জারি করে জনপ্রতি ৫০০ রিঙ্গিত সদস্য ফি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ফি বাবদ চার্জ করত।

জব্দকৃত অর্থ দেওয়া রসিদের ওপর ভিত্তি করে অনুমান করা হয়েছে যে চীন জাতিগত গোষ্ঠীর ১ হাজার শরণার্থী এই সংস্থার সদস্য হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে যাওয়ার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে।

দেশটির কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ অভিবাসীর কার্যকলাপ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং স্থানীয় জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলেও উল্লেখ করেন মহাপরিচালক।