ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, অক্টোবর ৬, ২০২৪ |

EN

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, জানুয়ারী ৪, ২০২৩

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত
পৌষের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে প্রকৃতি। সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের জনপদে আরও আগে থেকেই বইছে হিমেল হাওয়া। সিলেট অঞ্চলে শ্রীমঙ্গলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। 

তবে শীতের এমন আয়োজনে এতদিন অনেকটাই ব্যতিক্রম ছিল ঢাকা শহর। কয়েকদিন ধরে নগরে ঠাণ্ডা অনুভূত হলেও এর প্রভাব ছিল মূলত রাতে। দিন থেকেছে রৌদ্রকরোজ্জ্বল। ফলে শীতটা সেভাবে টের পাওয়া যায়নি।

পৌষের ১৯তম দিনে এসে মঙ্গলবার ঠাণ্ডা অনুভব করতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসীও। একদিনের প্রভাবে ঢাকায় তাপমাত্রা কমে গেছে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের তীব্রতা ছিল বেশ। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উত্তরের হিমেল বাতাস। 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেওয়াজ কবীর জানান, রাজধানী ঢাকাসহ খুলনা ও রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব কমে গেছে। ফলে এই তিন বিভাগে শীত আরও বেশি প্রকট হচ্ছে।

দেশজুড়ে হিমেল বাতাস বইতে পারে আরও কয়েক দিন। সেই সঙ্গে আজ দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হচ্ছে ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ মঙ্গলবারের তুলনায় রাজধানীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।

ওই দিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এদিন রাজধানীতে ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ বলেন, সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও কমেছে। আবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও হ্রাস পেয়েছে। ফলে শীত প্রকট আকার ধারণ করছে। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি বলেন, এখানে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক মাত্র ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ প্রতিদিনই সর্বোচ্চর সঙ্গে সর্বনিম্নর দূরত্ব কমছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দূরত্ব যত কমবে, শীতও ততই প্রকট হবে। আপাতত ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীতে প্রতিদিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দূরত্ব কমছে। 

তবে আগামী দুই থেকে তিনদিন পর ঠাণ্ডার তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। অন্যদিকে, কুয়াশা পড়ার ধারাটা অব্যাহত থাকবে। আজকে বা কালকের মধ্যে কুয়াশার পরিবর্তন হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।