Can't found in the image content. ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে তুলতে চাইলে কী করবেন, জানালেন হারুন | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে তুলতে চাইলে কী করবেন, জানালেন হারুন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, জানুয়ারী ৩, ২০২৩

ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে তুলতে চাইলে কী করবেন, জানালেন হারুন
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দিয়ে কেউ গাড়িতে উঠাতে চাইলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই গাড়িতে ওঠার জন্য ঢাকা মহানগরবাসীকে পরামর্শ দিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। 

সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিকদের প্রতি এই অনুরোধ জানান। 

রোববার রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে পাঁচজন ভুয়া ডিবি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।  

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ডিবি বললেই আপনারা গাড়িতে উঠবেন না। প্রথমে তাদের পরিচয় জানবেন অথবা আপনাদের সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। যারা ডিবি অথবা অন্য যে কোনো সংস্থার নাম ব্যবহার করে অপরাধ করে আসছেন, আমরা তাদের গ্রেফতার করেছি। অনেকের নাম আমরা পেয়েছি তাদের গ্রেফতার করব। তবে আপনাদেরও সচেতন থাকতে হবে।
 
হারুন অর রশীদ জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন-পিযুষ সুর (২৭), হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ (৩০) আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)। 

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি কালো রঙের মাইক্রোবাস, একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হাতকড়া জব্দ করা হয়। 

হারুন অর রশীদ বলেন, ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশাযোগে মতিঝিল সিটি সেন্টার থেকে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাওয়ার পথে একটি কালো রঙের নোয়াহ গাড়ি তার গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে বলে দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। তার সঙ্গে থাকা চার লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। 

পরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে রাজধানীর শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা, কুচিয়ামারা ব্রিজ হয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি মাওয়ার দিকে চলে যায়। ভুক্তভোগী এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। এতে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। 

গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায় কালো রঙের নোয়াহ্ গাড়িটি পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।  

হারুন অর রশীদ বলেন, এ চক্রটি পারস্পরিক যোগসাজশে প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। এ সময় ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হওয়া এবং মানি এক্সচেঞ্জের ব্যক্তিদের টার্গেট করে। ব্যক্তি শনাক্তের পর তারা পেছনে পেছনে গাড়ি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। 

ডিবি প্রধান আরও বলেন, গাড়িতে তুলে ভিকটিমের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে সুবিধাজনক নির্জন স্থানে ফেলে যাওয়া হয়। এ চক্রটি দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এ চক্রের প্রধান শহীদুল ইসলাম মাঝি। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। ইতঃপূর্বে শহীদুল ইসলাম মাঝিকে ডিবি পুলিশ একাধিকবার গ্রেফতার করে। জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও সে এ অপকর্ম চালায়।