চলতি মাসেই একটি মাঝারি ও দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর। তবে এ শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ বা তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এ সময়ে দেশের কোন কোন জেলায় ঘন কুয়াশা থাকার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলছেন, গত দুইদিন ধরেই দেশের উত্তরাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও রাজধানী ঢাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন রয়েছে। সোমবার সকাল রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে শীতের অনুভূতি কমবে না। ৭ থেকে ৮ জানুয়ারির দিকে তাপমাত্রা আবারও কমে যাবে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া মৃদু শৈত্য প্রবাহে শীত জেকে বসেছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ঘন কুয়াশাতে সড়কে যান বাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনভর বাতাস থাকায় শীত অনুভুত হচ্ছে বেশি। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে।
মেহেরপুরে শীতের তীব্রতা বাড়লেও কমেছে কুয়াশার ঘনত্ব। এই জেলায় গত শনিবার সকালে নিজ বাড়ির উঠোনে শীত নিবারনের জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। ঠাকুরগাঁওতে শীত বেড়েছে উত্তরের মৃদু বাতাসে। সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে পঞ্চগড় আবহাওয়া অফিস।
ঘন কুয়াশাতে সিডিউল বিপর্যয়ে সময়মত স্টেশনে পৌঁছতে পারছে না ট্রেন। কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্য প্রবাহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। অতিরিক্ত ঠান্ডায় এবং কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।