এক যুগেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা। প্রায় ১৩ বছর পর এ বৃত্তি পরীক্ষা চালু হওয়া নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, পড়ায় গতি বাড়াতে সাহায্য করবে এ পরীক্ষা। আবার চালু হওয়া এ পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের চাপে ফেলবে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
গতকাল শুক্রবার সারাদেশে একযোগে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, চারটি বিষয়ে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বরে দুই ঘণ্টার বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতিটি বিষয় থেকে ১৫টি এমসিকিউ ও একটি রচনামূলক প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষার ফি ছিল ৫০ টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ লাখ (পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ) শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্য থেকে যোগ্য ৩৩ হাজার জন মেধা বৃত্তি ও ৪৯ হাজার ৫০০ জন সাধারণ বৃত্তি পাবে।
সবশেষ ২০০৮ সালে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু করে সরকার।
এদিকে করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হয়নি। চলতি বছরও সরকারের এ পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা নেই। তাই প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতিতে আলাদা বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।