রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা (ডালিয়া) বিপুল ভোটে পরাজয় এবং জামানত হারানোর বিষয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রংপুরে প্রার্থী নির্বাচনে কোন ভুল হয়নি। আমাদের প্রার্থী পরীক্ষিত নেত্রী। তার সুনাম আছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক না মন্তব্য করে তিনি বলেন, রংপুরের নির্বাচনে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এখানে জাতীয় পার্টি এগিয়ে আছে। আওয়ামী লীগ কোন জোর করেনি। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন আসল খেলা না, খেলা হবে জাতীয় নির্বাচনে।
চাঁদ এত উজ্জ্বল তবুও চাঁদের কলঙ্ক আছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী তাই বলে দু'একটা জায়গায় এমন পরাজয় হতেই পারে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে নারী প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী তো বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিলো।
এসময় বিএনপির পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াসহ সাত মেয়র প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এতে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।
নির্বাচনে চতুর্থ অবস্থানে থাকা সরকার দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২২ হাজার ৩০৬ ভোট। যার ফলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের (আট ভাগের এক ভাগ ভোটের কম) কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। সে হিসাবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৩৫ হাজার ১২২ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডালিয়া ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন। নির্বাচনের বিধি মোতাবেক প্রদানকৃত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, লাঙল প্রতীকে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট।