Can't found in the image content. মুসা বিন শমসেরকে আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ |

EN

মুসা বিন শমসেরকে আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ১২, ২০২১

মুসা বিন শমসেরকে আগামীকাল জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুল কাদেরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল রোববার তাঁকে ডাকা হলেও তিনি যাননি। তাঁর ছেলে আইনজীবী জুবি মুসা ডিবি কার্যালয়ে গেলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

ডিবির গুলশান বিভাগের একজন অতিরিক্তি উপ-কমিশনার বলেন, প্রতারক আব্দুল কাদেররের সঙ্গে মুসা বিন শমসেরের ব্যবসায়িক সম্পর্কের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও জুবি মুসা যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি। তাই মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তাঁর আসার কথা রয়েছে।

 

এর আগে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেছিলেন, প্রতারক আবদুল কাদেরের কাছ থেকে মুসা বিন শমসেরের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিসহ কিছু নথি পাওয়া গেছে। আমরা মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছি। প্রতারকের সঙ্গে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। জুবি মুসা কিছু তথ্য দিয়েছেন। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

 

পুলিশ জানায়, ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ, বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ বাগানো ও চাকরি দেওয়ার নাম করে আব্দুল কাদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। দশম শ্রেণিতে লেখাপড়ায় ইতি টানা আবদুল কাদের পরিচয় দিতেন অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। আলোচিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের সংস্থা ড্যাটকোর আইনি পরামর্শক হিসেবেও তাঁর পরিচিতি ছিল। আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তারের সময় মুসা বিন শমসেরের সঙ্গে তাঁর অনেক ছবি ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনের কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। প্রতারক আব্দুল কাদেরের সঙ্গে ড্যাটকোর কী ধরনের সম্পর্ক ছিল এবং তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজগুলো সঠিক কি-না সে ব্যাপারে জুবি মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

 

গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান ১-এ জব্বার টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে সততা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের এমডি আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার ছোঁয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ওয়াকিটকিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহার হওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। অতিরিক্ত সচিব পরিচয় দিয়ে আব্দুল কাদের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।