ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ইভিএমের গতি অবশ্যই ব্যালটের চেয়ে ধীর হবে: সিইসি

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

ইভিএমের গতি অবশ্যই ব্যালটের চেয়ে ধীর হবে: সিইসি
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়ার গতি ধীর হওয়া সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইভিএমের গতি অবশ্যই ব্যালটের চেয়ে ধীর হবে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভিতে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন মনিটিরিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

অনেক জায়গায় ইভিএম হ্যাং করছে বিষয়টি নজরে আনলে সিইসি বলেন, অভিযোগটি অসত্য নয়। আমরা বলেছি যে, ইভিএমের গতি অবশ্যই ব্যালটের চেয়ে ধীর হবে। এমনও হতে পারে এটা ইভিএমের সেকেন্ড বা থার্ড জেনারেশন। আর নৌকার গতি রকেটের গতি সমান নয়। ইভিএমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচিং করিয়ে, বায়োমেট্রিক দিয়ে নিশ্চিত করা হয়। সেটা ব্যালটে হয়ে থাকে না। এখানে একটা পজিটিভ সাইট হচ্ছে, ইভিএমে কোনো রকম কারচুপি, একজনের ভোট আরেকজন দেওয়া এই জিনিসটা হচ্ছে না। এটা হচ্ছে ভালো দিক।

ভোট পড়ার হারের বিষয়ে সিইসি বলেন, কোথাও ৪৫ শতাংশ, কোথাও ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। গড়ে আমাদের এখানে ৪৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, প্রচুর ভিড় আছে। যেহেতু ভোটটা স্লো হয়, বাইরে ভিড় আছে এবং আগ্রহী ভোটারের সংখ্যা প্রচুর। আমরা বলে দিয়েছি যে, বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে যারা সীমানার মধ্যে থাকবে রাত যতটাই হোক তাদের সবার ভোট নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই ভোট পড়ার হার অনেকটা বাড়বে।

ভোটগ্রহণ এবং ভোট দেওয়া সুশৃঙ্খলভাবে হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ, আগ্রহ, উদ্দীপনা, আনন্দঘন পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রথম থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহযোগিতা করে আসছে, তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, ঘটলেও মোকাবিলা করা সম্ভব। তবে আমার মনে হয়, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একটা জিনিস খুবই সুখকর, সেটা হচ্ছে- মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে সংযমের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অবস্থান করছে। এটা একটা ভালো দিক।

জাপার প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জাপার একজনের ভোট দিতে অসুবিধা হয়েছিল। পরে তিনি ভোট দিয়েছেন। আমরা বলেছি প্রযুক্তিতে প্রবলেম হতে পারে। এখানে কিছু মেকানিক্যাল প্রবলেম হয়ে থাকতেই পারে। অনেক প্রার্থী তাৎক্ষনিকভাবে হয়তো দিতে পারেননি, পরপরই দিতে পেরেছেন। আমরা তাৎক্ষনিকভাবে বলে দিচ্ছি, সেনিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে, কারো কারো মিলে যাচ্ছে, কারো কারো মিলছে না। তাদের বলা হচ্ছে আপনারা পরে আসেন। যাদেরটা মিলছে না তাদের সরিয়ে দিয়ে যাদেরটা মিলছে তাদের ভোট নিয়ে নিতে বলছি। যাদের মিলছে না তাদের ভোটটা পরে নেওয়া হবে। এভাবে আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।