ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, জুলাই ১, ২০২৪ |

EN

এক মাস সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাল অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

এক মাস সাগরে ভেসে ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছাল অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে ভেসে এসেছে ৫৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর একটি দল। ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর নৌকাটি এক মাস ধরে আন্দামান সাগরে ভাসছিলো। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে সাগরে যে দেড়শ জনের বেশি ভাসমান অবস্থায় রয়েছে, এই দলটি তাদের অংশ কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে বিসিসি। তবে এই রোহিঙ্গারা কোথা থেকে এসেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেসে আসা এই দলের সবাই পুরুষ। এই সময় তাদের চরম ক্ষুধার্ত এবং দুর্বল অবস্থায় দেখা গেছে। অন্তত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাতাসে সেটি ভেসে ভেসে আচেহ বেসারের লাডং গ্রামের কাছে উপকূলে এসে ভিড়েছে। তারা রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তারা একমাস ধরে এই নৌকায় করে সাগরে ভাসছে।

স্থানীয় একজন অভিবাসন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, সরকারি একটি শিবিরে তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।

গত কিছুদিন ধরেই জ্বালানিহীন অবস্থায় একটি ছোট মাছ ধরার নৌকায় ১৫০ জন রোহিঙ্গা আন্দামান সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।

গত সপ্তাহে এই রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার জন্য আশেপাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দুই সপ্তাহ আগে তারা বাংলাদেশ থেকে রওনা দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এক মাস সমুদ্রে আটকে থাকা অন্তত ১৮০ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।

রোববার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানায়, রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি নিখোঁজ হওয়ার পর সম্ভবত ডুবে গেছে। এদিকে,

গত সপ্তাহে নৌকাটির আরোহীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানান, নৌকায় নারী ও শিশুরাও রয়েছে। ফুরিয়ে গেছে খাবার ও পানি।

পরে আন্দামান সাগরের চারপাশে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওই নৌকায় সহায়তা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিল জাতিসংঘ। কিন্তু সেই অনুরোধে সাড়া দেয়নি কোনো দেশ।

সংস্থাটি জানায়, রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি নিখোঁজ হওয়ার পর সম্ভবত ডুবে গেছে। এর আগে শনিবার এক টুইটে সংস্থাটি জানায়, নৌকায় থাকা সবশেষ ব্যক্তির সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে স্বজনদের।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সে দেশের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন অভিযান শুরু করে। পরে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা।