ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

৩৬৭ কোটি টাকার মদ বেচে কেরুর লাভ ১০০ কোটি

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২

৩৬৭ কোটি টাকার মদ বেচে কেরুর লাভ ১০০ কোটি

ছবি: সংগৃহীত

শুল্ক ফাঁকি রোধে ২০২১ সালে মদ আমদানিতে নজরদারি বাড়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে বৈধপথে মদ আমদানি হ্রাস পায়। ফলে দেশের একমাত্র লাইসেন্সধারী অ্যালকোহল উৎপাদনকারী কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড বিদায়ী অর্থবছরে ৩৬৭ কোটি টাকার মদ বিক্রি করেছে। এতে লাভ হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি।

জানা গেছে, বিক্রি ও লাভ দুটিতেই রেকর্ড গড়েছে কেরু। বছরের প্রতি মৌসুমে চিনিখাতে লোকসান করলেও চলতি বছর রেকর্ড মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মদ আমদানি হ্রাস পাওয়ায় কেরুর মদের চাহিদা বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে কেরুর মদ বিক্রি অন্য বছরের তুলনায় ৫০%-এর বেশি বেড়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার কেস মদ বিক্রি হচ্ছে।

কেরু ১৭৫ মিলিলিটার, ৩৭৫ মিলিলিটার ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতলে মদ বাজারজাত করে থাকে। এছাড়াও কেরুর রয়েছে ৯ ধরনের মদ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইয়েলো লেবেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্র্যান্ডি, চেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, অরেঞ্জ কুরাকাও, জারিনা ভদকা, রোসা রাম ও ওল্ড রাম।

আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য কোম্পানিটি বর্তমানে ১০ লাখ ৮০ হাজার প্রুফ লিটার মদ, ২৬ লাখ লিটার দেশি স্পিরিট ও ৮ লাখ লিটার ডিনেচার্ড স্পিরিট উৎপাদন করছে। পাশাপাশি ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সার, চিনি ও গুড় উৎপাদন করে থাকে। বিপরীতে প্রতি বছর চিনি ইউনিটে বড় ধরনের লোকসান হয় কেরুর। চিনিতে লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, সরকার প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য ১০২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্প শেষ হলে উৎপাদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হবে। উৎপাদন সক্ষমতাও দ্বিগুণ হবে।