পঞ্চগড়ে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত আবদুর রশিদ আরেফিনের মৃত্যুতে বিএনপির উদ্যোগে দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বাদ আসর কেন্দ্রীয়ভাবে নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপিসহ সমমনা দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জানাজা পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার সারা দেশে আমাদের প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল পালিত হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু পুলিশ অতর্কিতভাবে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালায়। আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করে। অনেক স্থানে আমাদের দলীয় কার্যালয়েও হামলা চালানো হয়। পঞ্চগড়ে গণমিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়ে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে। অনেককে আটক করা হয়। সেই হামলায় আব্দুর রশিদ আরেফিন নামে এক নেতা নিহত হন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
তিনি বলেন, ‘দেশে অতীতে যেসব আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছে তাদের রক্ত বৃথা যায়নি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই আরেফিনের রক্তও বৃথা যাবে না।’
মোশাররফ বলেন, ‘বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় এসে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের সব নেতাকর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। শত শত মানুষক খুন ও গুম করেছে। এত নির্যাতন করেও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি। দিন দিন দল আরও শক্তিশালী হচ্ছে। তাই আমরা বলতে চাই, যত নির্যাতন, মামলা-হামলা করুক এবার সরকার তাদের পতন ঠেকাতে পারবে না। জনগণ যেভাবে রাস্তায় নেমেছে তাদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। গণআন্দোলন গণঅভ্যত্থানে রূপ নিয়ে এ সরকারের পতন নিশ্চিত হবে। আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হাসান, আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, বেনজীর আহমেদ টিটু, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, ডা. রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নীরব, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
সমমনা দলগুলোর মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, লেবারপার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান প্রমুখ অংশ নেন।