নতুন বছরের শুরুতে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সরকারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা নিয়ে ঝামেলা চলছে। এজন্য তারা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। খবর আল জাজিরা।
চলতি মাসে বেতন ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনে নামের স্বাস্থ্যকর্মীরা। দুইদিন আন্দোলন করে তারা আবার কাজে যোগ দেন। কিন্তু দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মুদ্রা স্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মুদ্রা স্ফীতির সঙ্গে তাদের বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২৩ সালের ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি তারা কঠোর আন্দোলনে যাবেন। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রয়েল কলেজ অব নার্সিং এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলনের হুঁশিয়ারিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্দোলনের ঘোষণাকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করে তিনি তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের বেতন ভাতা বাড়ানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে চলতি সপ্তাহে ভোটের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন ভাতা বাড়ানোর দাবি বাতিল করেন স্কটল্যান্ডের সরকার। ফলে দেশটির নার্সদের সংগঠন নতুন বছরে আন্দোলনের দিনক্ষণ ঠিক করছে। নতুন বছরেও তারাও আন্দোলনে যাবে।
নভেম্বরে মুদ্রা স্ফীতির হার ১০.৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খাদ্য জ্বালানি তেলে উপর। এছাড়া করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তো আছেই।
রয়েল কলেজ অব নার্সিং এর সাধারণ সম্পাদক পাট কুলেন বলেন, আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য বিকল্প কোনো পথ রাখেনি।
চলতি মাসে জিএমবি ইউনিয়নের অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা আন্দোলন স্থগিত করার পর নতুন বছরের ১১ জানুয়ারির পর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বারকেলে বলেন, সংগঠনগুলো এমন এক সময়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে যখন স্বাস্থ্য আগে থেকেই খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।