ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

ভূমধ্যসাগরে ৯০ অভিবাসী উদ্ধার

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২২

ভূমধ্যসাগরে ৯০ অভিবাসী উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

জার্মান বেসরকারি সংস্থার দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ এক যৌথ অভিযানে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা ৯০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। প্রথম উদ্ধার হওয়া ৬৩ জন দেড়দিন প্রবল শৈত্যপ্রবাহের মাঝে রাবারের ডিঙি নৌকায় ভেসেছিলেন।

শনিবার রেগেুন্সবুর্গের এনজিও সি-আই এ কথা জানিয়েছে। সি-আই ৪ এবং ড্রেসডেনের মিশন লাইফলাইন সংগঠনের রাইজ অ্যাবভের ক্রুরা এই উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যৌথ অভিযানে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ১২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের সবাইকে সি-আই উদ্ধার করে। পরে শনিবার রাইজ অ্যাবভের ক্রুরা ২৭ জন সিরীয় অভিবাসীকে উদ্ধার করে।

মিশন লাইফলাইন জানিয়েছে, এদের মধ্যে অনেকে শ্বাসকষ্ট, বমি ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। অভিবাসীরা সাধারণত উত্তর আফ্রিকা থেকে বিপজ্জনক পথে ছোট নৌকায় চেপে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পৌঁছান। বিশেষ করে শীতকালে এই পারাপার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রতিকূল আবহাওয়া এবং সমুদ্রপথে বিপদের কারণে লিবিয়া, তিউনিশিয়া ইত্যাদি দেশ থেকে ইইউতে আসার পথে অনেকে প্রাণ হারান। এদের বেশিরভাগ রওনা দেন ইতালির পথে।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২২ সালে এখন পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৭০০ জনের বেশি অভিবাসী নৌকায় চেপে এসেছেন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় (৬৩ হাজার ৪০০ জন) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত মধ্য-ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশে আসতে গিয়ে এক হাজার ৩৬০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

ইতালির সাহায্য:

ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষ জার্মান সাহায্য সংস্থা মিশন লাইফলাইনকে একটি বন্দর বরাদ্দ করেছে। শনিবার তারা ৩০ জন অভিবাসীকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।

মিশন লাইফলাইনের জাহাজ রাইজ অ্যাবভকে অনুমতি দেওয়া হয় যাতে তারা অভিবাসীদের ইতালির জিও টাউরো শহরে নিয়ে যায়৷ ৩০ জনের প্রত্যেকে ছোট নৌকায় চেপে এসেছিলেন।

রোববার সকালে উদ্ধারকারী জাহাজটি মাল্টার পূর্ব দিকে ছিল। খবর পেয়ে রাইজ অ্যাবভের জাহাজ অভিযানের এলাকায় পৌঁছায়। তাছাড়াও শুক্রবার ৬০ জনের বেশি অভিবাসীকে উদ্ধারে সহায়তা করেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

ইতালির উগ্র ডানপন্থি সরকার অভিবাসীদের আগমন সীমিত করতে চায়। রোম বড়দিনের পরে একটি নতুন আদেশ চালু করতে চায়। কোন ক্রুরা প্রথমে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের উপকূলে নিয়ে আসবে সেটি নিয়ে নিয়ম চালু করার কথা চলছে। যদিও বেসরকারি উদ্ধার সংস্থাগুলো এই জাতীয় আদেশের বিরোধিতা করেছে।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস