এ মাসের ২৮ তারিখে মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করবেন উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। ২১ তারিখ ১০০ শত ব্রিজ উদ্বোধন করেছেন, ১০০ নতুন রাস্তা হবে। আমাদের অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ওরা ( বিএনপি) সমালোচনা করুক আমরা কাজ করে, উন্নয়ন করে জবাব দিবো।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে অভ্যার্থনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সকল ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সম্মেলন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে। সেজন্য আজকে সকল ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই সম্মেলন আরও বেগবান করবে সাধারণ মানুষকে। জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, এদের অপতৎপরতা আমাদের রুখতে হবে। সেজন্য সকল ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এবং নেত্রী ডাক দিলেই আমাদের দায়িত্ব এবং সংকট মোকাবেলায় ফেস করবো।
কাদের আরও বলেন, বিএনপি বলছে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত করবে। শুনলে আসলে হাসি পায়। এই দেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে যারা ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে এসেছিল সেই রাষ্ট্র কাঠামোকে তারা আবার মেরামত করবে? যা মেরামত করে শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ করেছেন। এটা আসলে হাস্যকর। এ ধরনের উদ্ভট কথাবার্তা তারা বলছে।
পল্টনে সমাবেশ করবেই, ১০ তারিখে খালেদা জিয়া বিজয় মিছিল করবে, মিছিলের নেতৃত্ব দেবে, তারেক রহমান ডাক দেবে আন্দোলনের এসব অনেক কথা আমরা শুনেছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তাদের পছন্দ না শেষ পর্যন্ত গেলেন গোলাপবাগ গরুর হাটে। তাহলে কিভাবে এসব বলে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বুদ্ধিজীবীদের ব্যাপারে বিএনপি বলে কি, বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার করবে এই সরকার হটিয়ে। এসব আজগুবি কথা, বিএনপির নেতাদের মাথা ঠিক নেই। যা চেয়েছিল সব স্বপ্ন কর্পূরের মতো উড়ে এজন্য তারা পাগলিমটা করুক,আমরা আমাদের কাজ করে যাবো, কাজের মাধ্যমে আমরা জবাব দিবো।
নাছিম বলেন, সম্মেলনের অন্তত তিনদিন আগে দাওয়াত কার্ডটি পৌঁছানো দরকার, সময় কম। এই কাজগুলো করার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীলভাবে করা উচিৎ। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে কার্ড পৌছানো দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হাজার হাজার লোককে আমরা দাওয়াত দিবোনা একটা সুনির্দিষ্ট,সম্মানিত আমাদের দলের প্রবীণ যারা এখন দলের নেতৃত্বে নেই কিন্তু তারা আছেন, এই ঢাকা শহরেই। তাদের কাছেও নিবীড়ভাবে,আন্তরিকভাবে দাওয়াত কার্ড পৌঁছে দিতে হবে। দপ্তর অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।দপ্তর অফিস সব রকম তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
আমু বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছে শেখ হাসিনা । গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে।ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। যে সমস্ত কূটনৈতিকরা উল্টো স্রোতে কাজ করছে তাদের দৃষ্টি থাকবে সম্মেলনের দিকে। আমন্ত্রিত অতিথির আপ্যায়ন করতে হবে যথাযথভাবে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও কাজে লিপ্ত তারা। , তারা ডিসেম্বর মাস বেছে নিয়েছে বিজয় দিবসকে উৎসবকে ম্লান করতে তারা কর্মসূচি দিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিজয় ধরে রাখতে হবে।
শেখ সেলিম বলেন, কূটনৈতিকদের সমালোচনা করে বলেন, তারা শিষ্টাচার লঙ্ঘন করছে । তারা শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে একজনের বাড়িতেও গিয়েছে। সে ব্যক্তি নিখোঁজ না কোন জঙ্গি গ্রিপে যোগ দিয়েছে কিনা খোঁজ নেয়া উচিৎ ছিল। এসব বন্ধ করতে হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে কড়া ভূমিকা পালনের নির্দেশ নিতে বলেন।
বিএনপি খুনিদের দল,বিএনপি খুন, ঘুমের রাজনীতি করে। বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ পরাজয় জানেনা ওরাই পরাজিত শক্তি। ডিসেম্বর এবং ১০ জানুয়ারি খুব গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় জীবনে ১০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এসেছিলেন। আল্লাহ ছাড়া আমরা কাওকে ভয় পাইনা বলে উল্লেখ করেন শেখ সেলিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, অভ্যার্থনা উপ-কমিটির আহবায়ক সভাপতি মন্ডলির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ বাহাউদ্দীন নাসিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার কবির, অভ্যার্থনা উপ-কমিটি সদস্য সচিব শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, নৌ পরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তরের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এস এস/ এফবিএন