ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪ |

EN

ফখরুল-আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

আদালত প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২২

ফখরুল-আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ দলটির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এই আদেশ দেন।

জামিন আবেদন নাকচের পর ঢাকার সিএমএম আদালতের সামনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

বিকেলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তাঁদের আইনজীবীরা। অন্যদিকে ফখরুলসহ অন্যদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস , ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ ২২৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন।

গতকাল রোববার মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন করা হয়। মির্জা ফখরুল  ও  মির্জা আব্বাসকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ফখরুল আব্বাসকে গভীর রাতে আটক করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার  পল্টন, রমনা ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় বিএনপির ৩৯ জন নেতা কর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৫৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে সেদিন  ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের ভূইয়ার জামিন দিয়েছেন আদালত।

গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা কর্মীদের গতকাল বুধবার চলা সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা হয়েছে।