Can't found in the image content. দুই সপ্তাহ সময় চান অভিযুক্ত শিক্ষিকা, অপেক্ষা করবে না তদন্ত কমিটি | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ |

EN

দুই সপ্তাহ সময় চান অভিযুক্ত শিক্ষিকা, অপেক্ষা করবে না তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ৯, ২০২১

দুই সপ্তাহ সময় চান অভিযুক্ত শিক্ষিকা, অপেক্ষা করবে না তদন্ত কমিটি

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে তদন্ত কমিটি একাধিকবার ডাকার পরেও তিনি আসেননি। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় এখন ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কথা না বলেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল।

 

তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, বক্তব্য গ্রহণের জন্য তাঁরা মুঠোফোনে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খুদে বার্তা ও ই-মেইলের মাধ্যমে চিটি পাঠানো হয়। এর জবাবে তিনি ‘মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করে দুই সপ্তাহের সময় চেয়েছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশনসহ সরকারি বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানের চাপ থাকায় দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে ৭ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিনেও তিনি তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন না করে ই-মেইলের মাধ্যমে আবারও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুই সপ্তাহের সময় চেয়েছেন।

 

তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল গত রোববার। এ বিষয়ে লায়লা ফেরদৌস বলেন, তদন্তের কাজ শেষ। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক এখন পর্যন্ত তাঁর বক্তব্য দিতে আসেননি। তদন্তের কাজে শিক্ষকের বক্তব্য আসলে গুরুত্বপূর্ণ নয়। যাদের বক্তব্য গুরুত্ব বহন করে, তাদের সবার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মানবিক কারণে শিক্ষক ফারহানাকে তাঁর বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। তিনি সশরীর উপস্থিত না হয়েও লিখিতভাবে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করতে পারতেন। এখন সময় না থাকায় আগামী সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমাদানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।

 

এর আগে গত ৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরাসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করে তদন্ত কমিটি। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলে। কিন্তু সেদিন দুপুর ১২টায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন উপস্থিত না হয়ে ১৪ দিনের সময় প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে তিন দিনের সময় দেয় তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় তাকে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কমিটির নিকট বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবারও উপস্থিত না হয়ে সেই একই কারণ দেখিয়ে পুনরায় ১৪ দিনের সময় দরকার বলে একটি ই-মেইল করেন।

 

কমিটির দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিনেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এটাও সুপারিশ করা হবে এই সিনেট সভা থেকেই। সেই সুপারিশ অনুযায়ীই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।