জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য আব্দুল কাদের সাফায়েত শাখা ছাত্রলীগের নবগঠিত ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে তাকে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজীর অনুসারী হিসেবে ব্যবস্থাপনা বিভাগ ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বসানো হয়। তবে ইতোমধ্যেই সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করায় ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ দেখিয়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ব্যাপারে সাফায়েত বলেন, আমার গ্রামের একজন ভাই আছে, তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি আমাকে মাঝে মধ্যে ফোন দিতেন, চা খাওয়ার জন্য ডাকতেন। একপর্যায়ে সিভি দিতে বললে আমি সিভি দিয়ে দিই। তারপরে দেখি যে আমাকে শাখা ছাত্রদলের সদস্য পদ দিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আমি সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ভাইয়ের রাজনীতি করি। আমি আজকেই ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি নিতাম; কিন্তু তার আগেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, সে ছাত্রদলের সাথে যুক্ত প্রমাণ পেয়েছি, তাই তাকে আমরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছি। তার মোবাইলে ছাত্রদল সম্পর্কিত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই আমরা সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেই। সে সিভি জমা দিয়েছে, রেফারেন্স হিসেবে তার বাবা শিক্ষক আবার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তও না। সে আবার ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ নিয়া প্রতিনিয়ত পোস্ট করে। আমরা বুঝতেই পারিনি সে এসব বিষয়ে সম্পৃক্ত।
বিভাগীয় কমিটিতে এরকম অভিযোগে অভিযুক্ত আর কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সবকিছু যাচাই বাছাই করে কমিটি দিয়েছি। আমরা তো মানুষ, ফেরেস্তা না। তারপরেও যদি এরকম কোনো অনুপ্রবেশকারী থেকে থাকে তবে সাথে সাথেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।