ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুলাই ৯, ২০২৪ |

EN

সরকার খিচুড়ি চুরি করেছে: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, ডিসেম্বর ১০, ২০২২

সরকার খিচুড়ি চুরি করেছে: গয়েশ্বর

ফাইল ছবি

ভোট চোর আওয়ামী লীগ সরকার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে খিচুড়ি চুরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘তারা বলছেন, নয়াপল্টন থেকে তারা চাল-ডাল খিচুড়িসহ অনেক কিছু উদ্ধার করেছেন। আসলে তারা নয়াপল্টন থেকে খিচুড়ি চুরি করেছেন।’

‘গণতন্ত্র বন্দি, জনগণ বন্দি, খালেদা জিয়াও বন্দি’- এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান আজ সশরীরে না থাকলেও তার ভয়ে কাঁপছে সরকার। সময় হলেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘সংসদ থেকে যে সাতজন এমপি পদত্যাগ করেছেন তারা আমাদের এক একটি বোমা। সংসদে নিক্ষেপ করা এগুলোই আমাদের তাজা বোমা।’

বিভাগীয় সমাবেশকে খেলা হিসেবে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা আগে নয়টি খেলায় জয়লাভ করেছি। আজকের খেলায়ও জয় পেয়েছি। কারণ আমাদের এ সমাবেশ ঠেকাতে সরকার মামলা হামলা খুনসহ সবকিছুই করেছে। আজ ঢাকায় সবকিছু বন্ধ কেন- এর জন্য সরকারই দায়ী। রাতে নয় আমরা সব কাজ দিনেই করি। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ, শান্তির জন্য আমরা অস্ত্র হাতে লড়তেও জানি।’

সিইসিকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, ‘এখনও সময় আছে আপনি মানে মানে কেটে পড়েন।’

রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে নতুন একটি নির্বাচন দিন।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমি বলেছিলাম ১০ তারিখের গণসমাবেশ থেকে সরকারকে বলে দেয়া হবে আপনারা কোন পথে যাবেন। যদি না যান তবে আপনাদের বিদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। তারা যুদ্ধ করতে যানেন। তারা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের মানুষ আবার যুদ্ধ শুরু করেছে। 

বাংলাদেশের মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছেন। আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কারাগারে গিয়েছিলেন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। আজ তিনি গণতন্ত্রের জন্য বন্দি। আর সেই বন্দি গণতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।