অভিসংশনের মাধ্যমে আইনপ্রণেতারা ক্ষমতাচ্যুত করেছেন লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাসিলোকে। এরপরই ‘অভ্যুত্থান চেষ্টার’ অভিযোগে তাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সিএনএন ও রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
পেদ্রো কাসিলোকে সরানোর পরে পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট দিনা বোলোয়ার্তে। এই দায়িত্ব নেয়ার মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত বোলোয়ার্তে দায়িত্ব পালন করবেন।
পেরুর সংসদের আইনপ্রণেতারা আগেই পেদ্রো কাসিলোর বিরুদ্ধে অভিসংশনের প্রস্তাব দেন। এ নিয়ে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও নিজেকে রক্ষা করার জন্য সংসদ ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করেন সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট।
পেদ্রো কাসিলো ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ডিক্রি জারি করে দেশ শাসনের কথা বলেন। টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে জানান, সংসদ অস্থায়ীভাবে ভেঙে দেবেন। দেশে ডিক্রির মাধ্যমে শাসনভার পরিচালনা করা হবে এবং নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। তার এই ঘোষণাকে সুস্পষ্ট অভ্যুত্থান উল্লেখ করে নিজের ও বিরোধী দলের সদস্যরা।
এর কয়েকদিন আগেই আবার পেদ্রো বিভারবিভাগ ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দেন। এ কারণে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা ক্ষুব্ধ হন। কেননা, তারা পেদ্রোর বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্ত করছিল। ফলে একে একে তারা সবাই পদত্যাগ করেন।
এদিকে এসবের পরও ফেঁসে যান তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই আটক করা হয় তাকে।