Can't found in the image content. করোনার নতুন ধরন আসতে পারে: ডব্লিউএইচও | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

করোনার নতুন ধরন আসতে পারে: ডব্লিউএইচও

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২২

করোনার নতুন ধরন আসতে পারে: ডব্লিউএইচও
শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনা মহামারিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেভাবে ‘ভুলে গেছে’, তাতে রীতিমতো উদ্বেগ বোধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন— এই উদাসীনতা ও সচেতনতার অভাবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সব নতুন ধরন আগমনের পরিবেশ তৈরি করতে পারে।

শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘মহামারির জরুরি অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণের পর্যায়ে আছি, কিন্তু এখনও আমরা তাতে সফল হইনি।’

‘করোনা টেস্ট ও টিকাদান কর্মসূচিতে বিরতি বা ধীরগতি এই ভাইরাসটির নতুন ধরনের আগমনের পরিবেশ তৈরি করছে এবং নতুন কোনো ধরনের আগমণ যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে সেটি আরও মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।’

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।

তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৬ জনের।

সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুসস বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তদের একটি বড় অংশই মৃদু উপসর্গে ভোগেন। কিন্তু আমাদের এটা ভুললে চলবে না যে আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন, যাদের জন্য এই রোগটি আক্ষরিক অর্থেই প্রাণঘাতী।’