ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে স্বচ্ছ একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে ক্ষমতাসীনরা ব্যর্থ হয়েছে। কালোটাকার মালিক ও গডফাদারদের কাছে নির্বাচন কমিশন অসহায়। ইভিএমের নির্বাচন জনগণ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
আজ ৩ ডিসেম্বর ২০২২ সকালে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত বায়তুল মোকাররম পূর্ব চত্বরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের সর্বত্রই অরাজকতা বিরাজমান। দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। দূর্নীতিবাজরা আঙুল ফুলে বটগাছ বনে যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের সহায়তায় ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। দূর্নীতি দমন কমিশন এখন নখদন্তহীন কমিশনে পরিনত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই৷ সাধারণ মানুষ সত্য কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। গ্যাস বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন অস্বাভাবিক উর্ধগতিতে জনগন আজ দিশেহারা। দেশের মানুষের এ কষ্ট লাঘবে কেউ সাড়া দেয় না।
সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে শরিফুল ইসলাম রিয়াদ কে কেন্দ্রীয় সভাপতি, নূরুল বশর আজিজীকে সহ-সভাপতি ও ইউসুফ আহমাদ মানসুরকে সেক্রেটারী জেনারেল হিসেবে ঘোষণা করেন।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ আল-আমীন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ , সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।