বৈশ্বিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুইদিনের বৈঠকে বসেন বিশ্বের বৃহৎ সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ বৈঠক শেষে ন্যাটো জোটের প্রধান দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, চীনের সামরিক কার্যক্রম নিয়ে চিন্তিত তারা।
রাশিয়া-চীনের একসঙ্গে কাজ করা, চীনের সেনাবাহিনীর পরিধি বৃদ্ধিসহ দেশটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ন্যাটো মিত্ররা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির দমনমূলক কার্যক্রম, ভুয়া তথ্যের ব্যবহার, সেনাবাহিনীর ক্রমবর্ধমান পরিধি ও সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।’
মার্কিন প্রভাবশালী এ মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন চীনের সঙ্গে যে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছেন তারা। তিনি বলেছেন, ‘তবুও যেখানে সম্ভব আমরা সেখানেই চীনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছি। এছাড়া সাধারণ যেসব চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো একসঙ্গে মোকাবিলায় আমরা চীনকে স্বাগত জানাই।’
এদিকে ব্লিঙ্কেনের মুখ থেকে এমন সময় এ মন্তব্য শোনা গেল যখন রাশিয়া বুধবার জানায়, তারা জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে তুপোলেভ-৯৫ দূরপাল্লার বোম্বার বিমান দিয়ে চীনের সঙ্গে যৌথ টহল কার্যক্রম চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ওইদিন দাবি করেছিল, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সীমার ভেতর চীনের দুটি এবং রাশিয়ার চারটি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করেছিল। এ ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজেদের বিমান উড্ডয়ন করেছিল দ.কোরিয়াও।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা চলতি সপ্তাহে এক প্রতিবেদনে জানান, চীন তাদের পরমাণু কার্যক্রম অনেক বাড়িয়েছে। এতে করে ২০৩৫ সালের মধ্যে তাদের পরমাণু ওয়ারহেডের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ ছাড়াবে।
ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা করার কয়েকদিন আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে দেখা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময় তারা দুই দেশের মধ্যে ‘সীমাহীন বন্ধুত্বের’ ঘোষণা দেন। যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের চিন্তিত করে তোলে। যদিও ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করার পর এখন পর্যন্ত তাদের কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা দেয়নি বেইজিং।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান