মহামারি শুরুর পর ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ শুরু হয়েছে। তার রেশ এখনো চলছে। বাড়ি থেকে কাজ করার অনেক সুবিধা থাকলেও কিছু অসুবিধাও রয়েছে।
অফিসে গিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সময় নির্ধারিত থাকে।
তবে অফিসের বাইরে থেকে কাজ করলে সংস্থার প্রয়োজনমাফিক সময়ে কাজ করতে হয়। যেমনটা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার এক যুবকের ক্ষেত্রে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, নিজের বিয়ের দিন সকালেও বসে বসে অফিসের কাজ করতে হয়েছে বরকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতি মতো ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।
ওই ছবিতে দেখা যায়, বিয়ের দিন সকালে হিন্দু প্রথা অনুসারে নান্দীমুখ, বৃদ্ধি চলছে। মণ্ডপে বসে রয়েছেন পুরোহিত, পাত্র এবং পাত্রের বাবা। বিয়ের পর বর-কনের যৌথ জীবন শুরু করার আগে পূর্ব পুরুষদের স্মরণ করতে করতেই পাত্র খুলে বসে আছেন ল্যাপটপ।
ল্যাপটপে তিনি ঠিক কী কাজ করছেন, তা স্পষ্ট নয়। তবে নেটিজেনরা ছবি দেখে বুঝতে পারছেন, ওই দিন অফিস থেকে ছুটি পাননি বর। সে কারণে সকালে আচার অনুষ্ঠান করতে করতেই অফিসের নির্দিষ্ট সময়ে ‘লগ ইন’ করছিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, বিষয়টি একেবারেই মজার নয়। বিয়ের দিন কোনো সংস্থাই তার কর্মীদের কাজ করতে আদেশ করতে পারে না। বিয়ে করতে যাওয়ার আগে তার উচিত ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে শেখা। যে নারী ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করতে চলেছেন, তাকে ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।
আরেক জন লিখেছেন, এ ধরনের মানসিকতা প্রচার করার কোনো মানেই নেই। এতে গর্বিত হওয়ারও কোনো কারণ দেখি না।
তৃতীয় জনের মত, এই ছবিটি আদৌ সত্যি কি? দেখতে মজার হলেও এ ধরনের কর্ম সংস্কৃতি অন্যান্য কর্মীদের জন্য ভালো না-ও হতে পারে।
বরের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী সৈকত দাস। নান্দীমুখ বিয়ের দিন সকালে না করে আগের দিন করা হয়েছে। সৈকতের ছুটি ছিল বিয়ের দিন থেকে। নান্দীমুখের সময় হঠাৎ করেই তার জরুরি ‘কল’ চলে আসে। সে কারণে অনুষ্ঠানের মাঝেই তাতে যোগ দিতে হয়েছিল বরকে।
সূত্র: এনডিটিভি