Can't found in the image content. চাকরির তদবির নিয়ে ভিসির সাথে দ্বন্দ্ব কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

চাকরির তদবির নিয়ে ভিসির সাথে দ্বন্দ্ব কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির

নাজমুস সাকিব, কুবি প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, নভেম্বর ৩০, ২০২২

চাকরির তদবির নিয়ে ভিসির সাথে দ্বন্দ্ব কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের চাকরি দাবি করে শাখা ছাত্রলীগ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির  সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ উপাচার্যের কক্ষে গিয়ে উচ্চবাচ্য করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্যের কক্ষে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি এই ঘটনা ঘটান।

এর আগেও বিভিন্ন সময় তার স্ত্রী এবং নেতাকর্মীদের চাকরিসহ বিভিন্ন টেন্ডারের জন্য উপাচার্যের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে। গত ৩১ মার্চ একই কারনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্যের গাড়ি আটকে রেখে সবার সামনে উপাচার্যকে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক কথা বলেন।

এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এই সম শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ, সহ-সভাপতি হাসান বিদ্যুৎ, কাজী নজরুল ইসলাম হলের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন পদে চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে তিনি ও হাসান বিদ্যুৎ উপাচার্যের সাথে উঁচুগলায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এইসময় ইলিয়াস বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে, আপনার বিরুদ্ধে করতে পারবো না আমরা? আপনার কারনে চাকরি না পেয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। তাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে অথচ তারা চাকরি পাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, আজকেই আমি সব হলের ছেলেমেয়েদের ডেকে জরুরী সভা করবো। সেখানে তাদের বলবো ভিসি স্যার আমাদের ছাত্রলীগের কাউকে চাকরি দিবেন না।

এই সময় ঘটনাস্থলে কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ক্ষমতা দেখিয়ে কেউ যদি অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, তাহলেও আমি চাকরি দিবো না। বিশ্ববিদ্যালয় মেধার জায়গা, মেধার ভিত্তিতে যোগ্যরা চাকরি পাবে। তারা আমার কাছে চাকরির জন্য এসেছিল। কিন্তু আমি বলেছি যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়া হবে। আমি অন্যায় পথে কখনো আগাবো না।

এই বিষয়ে ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এই উপাচার্য স্যার ছাত্রলীগকে সুবিধা দিতে চান না। উনি নীতিনৈতিকতার কথা বলেন অথচ শিক্ষক নিয়োগেই উনি নির্দিষ্ট কয়েকজনকে নিয়োগের জন্য সার্কুলারে বিশেষ শর্ত দিয়ে দিয়েছেন। ছাত্রলীগের থেকে কথা বলতে গেলেই ওনার সমস্যা।