চিনিকল আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে সরকার। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটকালে বড় বিনিয়োগ এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি জানান, লোকসান কমিয়ে চিনিকলের উৎপাদন বাড়াতে উন্নত জাতের আখচাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের অস্থিতিশীলতারোধে রাষ্ট্রীয় চিনিকল ভূমিকা রাখতে পারে।
কয়েক বছর আগে লোকসানে থাকা সরকারি চিনিকলগুলোকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে লাভজনক করার পরিকল্পনা নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বন্ধ ও সচল ১৫টি চিনিকলকে সমন্বয় করে নতুন তিনটি আধুনিক কারখানা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে আপাতত মিল চালু হচ্ছে না।
শিল্পমন্ত্রীর দাবি, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে চিনিকল আধুনিকায়ন করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। পুরো প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহ করাও এ মুহূর্তে কঠিন। তাই বছরখানেক পর নতুন করে সংস্কারের চিন্তা করা হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আমদানি নির্ভরতা কমাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সব চিনিকল চালু ও এর বিকাশ হতে পারে বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত।
দেশে চালু সরকারি চিনিকলের সংখ্যা ৯টি। এসব চিনিকলে সবশেষ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৪ হাজার টন। দেশে বছরে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন পরিশোধিত চিনির চাহিদা রয়েছে। এর প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়।
দেশের চিনির চাহিদার মাত্র ২ শতাংশ পূরণ করে সরকারি মিলগুলো। সঠিক পরিকল্পনায় লোকসান বাড়লেও উৎপাদন বাড়ছে না। এর থেকে উত্তরণে টেকসই পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর বেশি জোরদারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।