Can't found in the image content. ছাত্রলীগের সম্মেলন : নেতৃত্বের দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে যারা | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ছাত্রলীগের সম্মেলন : নেতৃত্বের দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে যারা

সিয়াম মাহমুদ, বিশেষ প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ২৮, ২০২২

ছাত্রলীগের সম্মেলন : নেতৃত্বের দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে যারা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বহুল প্রতীক্ষিত ৩০ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বাস, ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। নতুন নেতৃত্বে আসার জন্য দলের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে লবিং-তদবিরে তৎপর ছাত্র নেতারা। আগামীর নেতৃত্বে কারা আসছেন তারই প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছেন কর্মীরা। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরপরই মধুর ক্যান্টিনের বাইরে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও পদপ্রত্যাশীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি শীর্ষ নেতৃত্বে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে তুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে শাসক দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা। এছাড়া সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশেই এমনটা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পরপরই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন পদপ্রত্যাশীরা। দিন-রাত তারা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এব সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ দলের অন্যান্য প্রভাবশালী নেতার কাছে ধরনা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কেউ কেউ দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছেও পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

আওয়ামী লীগ শীর্ষ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ভালো, রয়েছে ক্লিন ইমেজ এবং যাদের পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই, তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসবে। এছাড়াও যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এবং মানবিক কাজে করে আলোচনায় আসতে পেরেছেন, এমন ছাত্রনেতারাও এগিয়ে থাকবেন।

বিগত কয়েক বছরে নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চল থেকেই ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। এরমধ্যে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, খুলনা এবং ময়মনসিংহ উল্লেখযোগ্য। 

দলীয় এক সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, এবার চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে শীর্ষ পদের একটি আসতে পারে। এরপরের লিস্টে রয়েছে বৃহত্তর ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ। 

ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদের মধ্যে গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শামীম শেখ তূর্য, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. নিয়ামত উল্লাহ তপন, এফ রহমান হলের সাবেক জিএস ও কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাহিম আলোচনায় আছেন।

ময়মনসিংহ থেকে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ। 

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয়  ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, সহ সভাপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, উপসাহিত্য সম্পাদক জয়জিৎ দত্ত।

সিলেট বিভাগ থেকে এবার আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আল আমিন রহমান, জগন্নাথ হলের সভাপতি কাজল দাস।

বৃহত্তর ফরিদপুর থেকে আলোচনায় আছেন সহ-সভাপতি কামাল সহ সভাপতি রাকিব হোসাইন, খান, সহ সভাপতি ইমরুল হাসান নিশু, কর্মসংস্থান সম্পাদক রনি মোহাম্মদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, উপ-আইন সম্পাদক শাহেদ খান, উপ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন।

উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সিদ্দিক সুজন, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসু, উপ-দপ্তর সম্পাদক খান মুহাম্মদ শিমুল। 

বরিশাল বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন সহ-সভাপতি ইয়াজ আল-রিয়াদ, সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়, উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স।

খুলনা বিভাগ থেকে রয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন, মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, উপ-বিজ্ঞান সম্পাদক খন্দকার হাবিব আহসান।

এবারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে আসার গুঞ্জন রয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আল আমিন শেখ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

এছাড়াও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার জামিউস সানি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক হামজা রহমান অন্তর, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-নাট্য বিষয়ক সম্পাদক তারেক আজিজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়ুল ইসলাম ফুয়াদ আলোচনায় রয়েছেন। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ পদে আলোচনায় আছেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান, ঢাবি শাখার সাহিত্য সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী, এস এম হলের সাবেক ভিপি এম. এম. কামাল উদ্দিন, এস এম হল ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, মুহসিন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির, শহিদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা, মুক্তিযোদ্ধা হলের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত, কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক উপসম্পাদক সোলাইমান ইসলাম মুন্না আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন।