ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

আরপিও সংশোধনের সরকারে অবস্থান জানতে চান সিইসি

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, নভেম্বর ২৭, ২০২২

আরপিও সংশোধনের সরকারে অবস্থান জানতে চান সিইসি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মূল আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে সরকারের কী অবস্থান, তা জানতে চান প্রধান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রোববার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরপিও সংশোধন নিয়ে তিন বার চিঠি দিয়েও আইন মন্ত্রণালয়ের কোনো সাড়া না পাওয়ায় এর আগে শেষবারের মতো চিঠি দিয়েছে তার কমিশন। এতে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সাড়া দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

সাবেক এই আইন সচিব বলেন, যেহেতু সময় বেঁধে দিয়েছি ওই সময়ের মধ্যে আমাদের প্রত্যাশা যে তারা একটা রেসপন্স নিশ্চয় করবেন। আর দেরি হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকে, আমরা বিশ্বাস করি ব্যস্ততার কারণে হয়তো সময় করে ওঠতে পারেননি।

এখন আমরা তো অনন্তকাল ধরে একটা মেটার পারস্যু করতে পারবো না। এজন্য আমরা বিষয় শেষ করে দিতে চাই। ঠিক আছে যদি না হয়, আমরা অন্য কাজে মনযোগ দেবো। এ বিষয় নিয়ে হয়তো আর আমাদের পারস্যু করতে হবে না। আমরা করবো না। এই চিঠির পর আর রিকোয়েস্ট করা হবে না।

যদি জাবাব না আসে আইনি সংস্কারও না হয়, ভোট কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সেটা ওই তারিখটা (১৫ ডিসেম্বর) আসুক, ওর পরে আমরা যদি মনে করি যে আমাদের কী করতে হবে, তখন কমিশন বৈঠকে বসে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত নেবো। এটা কী খুব গুরুত্বপূর্ণ কিনা, কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তখন আমরা সেটা বিবেচনা করে দেখবো।

গুরুত্ব বলেই তো সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, না। সবকিছুই যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা নয়। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার সবকিছুই যেসব সময় অ্যাড্রেস হবে তা তো না এবং সরকারেরও একটা নিশ্চয় যুক্তি আছে বা যুক্তি থাকবে। আমরা যেটা প্রত্যাশা করতে পারি সরকারেরও যুক্তি থাকতে পারে, যে না; প্রয়োজন নেই। এটা অলরেডি অ্যাড্রেস আছে কোথাও। যদি অ্যাড্রেস হয়ে থাকে সেটাও যদি আমরা জানতে পারি তাহলে এই জিনিসটা নিয়ে আর আমাদের পারস্যু করার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু সেটাই আমরা চেয়েছিলাম যে, সরকারের রেসপন্স কী? তাদেরও এই আইনটা নিয়ে একটা যুক্তি থাকতে পারে, কারণ অথরিটি তারা। অথরিটি সরকার ও পার্লামেন্ট। তারা যদি মনে করেন পর্যাপ্ত আইন রয়ে গেছে। এ বিষয়ে করার কিছু নেই, এইটুকু আমাদের জানিয়ে দিলেও আমরা সেটা বিবেচনা করতে পারতাম।

আইন সংশোধন না হলে কী প্রত্যাশিত ভোট হবে? এই প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই নিয়ে কোনো মন্তব্য এখন আর করবো না, পর্যাপ্ত বলেছি।