Can't found in the image content.
ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৭, ২০২১
নাজমুস
সাকিব। কানাডা থেকে প্রচারিত আর্বজনা টিভি নাগরিকের বার্তা সম্পাদক। দেশে থাকতে ইংরেজী
দৈনিক দি ইনডেপেনডেন্ট এ খন্ডকালীন চাকরী করতেন। একটি নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ তাকে
খুঁজছিলো। এরকম সময়ে পালিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা
করেন। এখন অবস্থান করছেন ফ্লোরিডার পাম বীচে। ওখানে বসেই নাগরিক টিভিতে রাষ্ট্রবিরোধি
অপতৎপরতায় লিপ্ত। সাকিবের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে যৌন বিকৃতি, সমকামিতা এবং নির্যাতনের
অভিযোগে মামলা করেছিল ফ্লোরিডা ডিষ্টিট কোর্টে। পারিবারিক হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ আপাতত
মীমাংশা হয়েছে। সন্তানদের নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন আইনগত কারণে।
সম্প্রতি
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকা সাইবার সন্ত্রাসীদের ব্যপারে অনুসন্ধান করছে সরকার। এইসব
অনুসন্ধানে নাগরিক টিভির বার্তা সম্পাদক এবং কুৎসিত, অরুচিকর টকশো উপস্থাপক নাজমুস
সাকিবের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে এই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সরকারের
বিভিন্ন সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম ১৫ জন সাইবার সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করেছে,
যারা বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী ভয়ংকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এরা রাষ্ট্র, সরকারের
বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নানাভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এই তদন্তে
নাজমুস সাকিব সম্পর্কে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সরকারী
সূত্রে জানা গেছে, নাজমুস সাকিবের বাবা ছিলেন জামাতের ক্যাডার। সাকিব ঢাকার আইডিয়াল
স্কুলে এবং নটরডেম কলেজে পড়াশুনা করে। এসময় সে মাদক এবং নারী আসক্তিতে জড়িয়ে পরে। দুদফা
প্রেপ্তারও হয়েছিল। কিছুদিন সে ইংরেজী দৈনিক ইনডেপেডেন্ট এ কাজ করে। এসময় জামাত-শিবিরের
সঙ্গে জড়িয়ে পরে নাজমুস সাকিব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে সে সময় যারা সাইবার
অপপ্রচারে জড়িয়ে পরেছিলো, তাদের একজন ছিলো নাজমুস সাকিব। বাঁশের কেল্লা সহ কয়েকটি অনলাইন
প্লাটফরমের মাধ্যমে এরা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নানরকম মিথ্যাচার করা শুরু করে। এসময়ই
নাজমুস সাকিবের সঙ্গে পরিচয় হয় যুদ্ধাপরাধী ব্যরিষ্টার আবদুল রাজ্জাকের। মূলত ব্যরিষ্টার
রাজ্জাকের সহযোগিতাতেই এই বিকৃত রুচির তরুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে সক্ষম হন। এখন
সেখানে বসে যুদ্ধাপরাধীদের অর্থে নাগরিক টিভি প্রচার করছে এই সাইবার সন্ত্রাসী।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল এই দুবৃত্ত। সেখানে নিজেকে
একজন সমকামী হিসেবে উল্লেখ করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাজমুস সাকিব পরিচয় গোপন
করে প্রতারনার মাধ্যমে বিয়ে করে। তার স্ত্রী দাবী করেছেন, নাজমুস সাকিব একজন যৌন বিকৃত
মানসিক রোগী।