স্থানীয় নির্বাচনে হেরে গিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন তার দল ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার ( ২৬ নভেম্বর) তিনি পদত্যাগের এ প্রস্তাব দেন।
বিরোধীদল কুওমিনতাং (কেএমটি) শনিবার রাজধানী তাইপেসহ বেশ কয়েকটি আসনে জিতেছে। কেএমটি, রক্ষণশীল ব্যবসায়িক চ্যাম্পিয়নদের একটি দল এবং তারা চীনপন্থি বলে ধরা হয়।
তাইওয়ানের এই নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ রয়েছে অন্যান্য দেশেরও। কেননা তাইওয়ানকে নিয়ে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজমান।
চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে প্রেসিডেন্ট সাই এই নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক ভোট হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাশিত ছিল না। আমার সব দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া উচিত এবং আমি অবিলম্বে ডিপিপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছি।’
তাইওয়ানের মানুষ ১৩টি কাউন্টি ও ৯টি শহরে মেয়র, সিটি কাউন্সিল সদস্য এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতা নির্বাচনে ভোট দেয়। ভোটারদের সর্বনিম্ন বয়স ২০ থেকে ১৮ বছর।
সাই ইং ওয়েন চীনবিরোধী নেত্রী হিসেবে পরিচিত। গত কয়েক বছর ধরে বেইজিংয়ের ‘আধিপত্যের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার তিনি। এর আগে ২০১৬ সালে তাইওয়ানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) নেত্রী সাই ইং ওয়েন।
১৯৪৯ সাল থেকে দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ বলে মনে করে চীন। দেশটিকে বেইজিংয়ের অধীনে নিয়ে আসতে চীন প্রয়োজনে শক্তিপ্রয়োগেরও হুমকি দিয়ে আসছে।
অপরদিকে, তাইওয়ানের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
সূত্র: বিবিসি