প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের ব্যাংকগুলোতে যে ডলার সংকট আছে আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই সেটা দূর হয়ে যাবে।
যে জিনিসগুলো আমাদের আমদানি করা প্রয়োজন সেগুলো রমজানের আগেই আমদানি করা হবে।
রমজানে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার সময় একদিনের সফরে ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। আমদানি করতে গিয়ে আমাদের দেশের উপরেও চাপ পড়ছে। তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনায় সরকার দেশের এক কোটি পরিবারকে টিসিবির মাধ্যমে কম মূল্যে বিভিন্ন পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। আর এই এক কোটি পরিবারের মাধ্যমে ৪ থেকে ৫ কোটি পারিবার সেটি ভোগ করছে। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৪/৫ কোটি মানুষকে আমরা সরাসরি এই সহযোগিতা দিলে আর কোনো সমস্যা হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে, তিনি বলেন, দেশের সব জায়গাতেই কলকারখানা গড়তে হবে এটা প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন ফসল ও মাছের চাষ মেহেরপুর জেলাকে সমৃদ্ধ করছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমি নষ্ট করে কলকারখানা গড়ার অনুমতি দিচ্ছেন না। এখন আর কলকারখানা না গড়ে ১০০টা বিশেষ অর্থনীতিক অঞ্চল গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকার মানুষ জমি দিলে এই এলাকায় ফুড প্রসেসিং বা কৃষি ভিত্তিক একটা বিশেষ অর্থনীতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হবে।
পরে তিনি ফিতা কেটে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংক আইএফআইসির ১০০০তম মুজিবনগর শাখার উদ্বোধন করেন।
এসময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সদর উজেলার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, স্থলবন্দরের সব কাজই শুরু হবে। ইতোমধ্যে স্থলবন্দরের গেজেট প্রকাশ ও সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। স্থলবন্দরের জন্য যে রাস্তাগুলো দরকার সেগুলোও শুরু হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই আমরা চেকপোস্টের কাজ শুরু করবো। স্থলবন্দরের জন্য যে স্থাপনাগুলো লাগে সেগুলো আগামীতে শুরু হবে।
তিনি বলেন, মেহেরপুর জেলার মাটি উর্বর, এখানে সব ধরনের ফসল ও ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। এই জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণ বাঁধাকপি এখন রপ্তানি করা হচ্ছে। সব ধরনের ফসল ও ফল বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের ১ম স্থানে থাকবে এ ধরনের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। জেলার ফল ও ফসল রপ্তানি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী কাজ করতে চাচ্ছেন। এজন্য সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এই জেলা পরিদর্শন করেছেন। এখানে আগামিতে ফুড প্রসেসিং এর জন্য সরকার সব ধরনের কার্যক্রম হাতে নেবে।