ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যের শিক্ষার মান বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজসহ আরও অনেক প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান এই দেশেই।
ফলে উচ্চ শিক্ষা নিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে যেতে চান শিক্ষার্থীরা। তবে যুক্তরাজ্যে সবার উচ্চশিক্ষা নেওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ নাও হতে পারে। কারণ দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রবেশ সীমিত করে দিতে চান। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মূলত যুক্তরাজ্যে নেট অভিবাসীর সংখ্যা সাধারণের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিকল্পনা করছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। অভিবাসন ঠেকাতে ঋষি সব উপায় ভেবে দেখবেন। এরমধ্যে থাকবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশ সীমিত করে দেওয়ার বিষয়টিও।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘লো কোয়ালিটি’ ডিগ্রি নিতে যারা যুক্তরাজ্যে আসতে চায় তাদেরই আটকানোর পরিকল্পনা করছেন ঋষি সুনাক। তবে লো কোয়ালিটি ডিগ্রি আসলে কি সেটি পরিষ্কার করেননি এই মুখপাত্র।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে দেশটিতে নেট অভিবাসীর সংখ্যা অত্যাধিক বেড়েছে। ২০২১ সালে নেট অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার। সেটি এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪ হাজারে। মানে এ বছর এ সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৩১ হাজার।
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি যান ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। চীনকে টপকে এ বছরই ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী স্টুডেন্ট ভিসা পেয়েছেন। নেট অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ তারাই।
তবে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি এমনটি করা হয় তাহলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ঝামেলায় পড়বে। কারণ ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কম ফিস নিতে হয় তাদের। এতে করে অর্থের যে ঘাটতি তৈরি হয় সেটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়ে পূরণ করা হয়। বিবিসি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে লাগাম টেনে ধরা হলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে।
এদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাজ্যে অনেক ভারতীয় পড়াশোনা করতে এসে বেশি সময় অবস্থান করে। এ নিয়ে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি