ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারির দেড় বছর করে কারাদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২২

আত্মসমর্পণকারী ১০১ ইয়াবা কারবারির দেড় বছর করে কারাদণ্ড
কক্সবাজারের টেকনাফে প্রায় চার বছর আগে আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবা কারবারীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায়ে  ১০১ জনকে ১ বছর ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইসমাইল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে  সকালে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ১১ টা ২০ মিনিটের দিকে মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। 

দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে রায় পড়া শুরু করে ১ টা ৪৫ মিনিটের সময় শেষ হয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের  রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি ফরিদুল আলম জানান,  আদালত ১০১ আসামীর প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস করে সাজা প্রদান করেছেন। প্রত্যেককে  ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এই রায় দৃস্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইয়াবা কারবারিদের কাছে কাছে একটা ম্যাসেজ এ রায়। অপর একটি অস্ত্র মামলায় সবাইকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।

২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০২ জন ইয়াবাকারবারী আত্মসমর্পণ করে। 

১০২ জন আসামীর মধ্যে মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মোহাম্মদ রাসেল(২৮) নামে এক আসামী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আত্মসমর্পনের ওইদিনই (১৬ ফেব্রুয়ারি) আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির বাদী হন  টেকনাফ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় টেকনাফ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) এবিএমএস দোহাকে। মামলা দায়েরের দিনই সকল আসামীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের আদেশে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এর আদালত ১০১ আসামীর বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার আসামী মোঃ রাসেল বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যাওয়ায় তাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ২০২০ সালের  ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সকল আসামীর উপস্থিতিতে শুনানী শেষে মামলার অভিযোগ ( চার্জ)  গঠন করেন।

আত্মসমর্পনের পর টানা দেড় বছর সকল আসামী কারাগারে ছিলেন। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে গত  চলতি বছরের ১৫ নভেম্বরের আগ পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছিলেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামীদের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করা হয়। 

বর্তমানে এ মামলার মোট ১৭ জন আসামী কক্সবাজার জেলা কারাগারে আছেন। বাকী ৮৪ জন আসামী আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক রয়েছেন।