গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণে অনিয়মের প্রতিবেদন নিয়ে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১২ অক্টোবর ৫১টি কেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়মের কারণে উপনির্বাচনের মাঝপথে এসে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দেন সিইসি। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার ঘোষণা দেয়া হয়। সেই কমিটি ইতোমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তা নিয়েই জানতে চান সাংবাদিকরা।
সিইসি বলেন, এটা নিয়ে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেব না। আমরা পর্যালোচনা করছি ও বিষয়টি ভালোভাবে দেখছি।
গাইবান্ধায় নতুন করে ভোট হবে কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখন কিছুই বলব না। একটু সময় নিন, সব জানতে পারবেন।
গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন অনিয়মের কারণে উপনির্বাচনের মাঝপথে এসে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার ঘোষণা দেন সিইসি। ঘটনার তদন্তে ইসি একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি দুই দফা তদন্ত করে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে এই বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে কমিশনার আনিছুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া আগের তফসিল বাতিল করে ওই আসনের উপনির্বাচনে নতুন করে তফসিল দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইসি ইতোমধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন পরবর্তী ৯০ দিনের অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই হিসাবে আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে এ আসনের উপনির্বাচন শেষ করতে হবে ইসিকে। এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির হাতে আর ৫৮ দিন সময় রয়েছে।