Can't found in the image content.
ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ৬, ২০২১
ছয়
কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শামীমা নূর
পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে নেন। এদিন আসামি
পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে আদালতে হাজির করা হয়।
আজ
অভিযোগ গ্রহণের পাশাপাশি মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বদলির নির্দেশ দেন বিচারক।
একই সঙ্গে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত
বছরের ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ
বাদী হয়ে তাদের দুজনের নামে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’
এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়।
মামলার
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত
ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি,
মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ
করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো
বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ
বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে
কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগকৃত ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর
নামে জমাকৃত ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।
অন্যদিকে
র্যাবের অভিযানে পাপিয়ার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ
২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস দুদকের অনুসন্ধানে
মেলেনি।
উল্লেখ্য,
মাত্র ৯ কর্মদিবসে বিচার কাজ শেষে গত বছরের ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনের শামীমা নূর পাপিয়া
ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড রায় দেন আদালত। এ মামলায় গত
বছরের ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এরপর মামলায়
বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।