Can't found in the image content. কিয়েভ সফরে ঋষি সুনাক | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

কিয়েভ সফরে ঋষি সুনাক

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: রবিবার, নভেম্বর ২০, ২০২২

কিয়েভ সফরে ঋষি সুনাক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ঋষি সুনাক প্রথমবারের মতো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলাকালে কিয়েভ সফরে গেলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সহায়তা করার জন্য ৫০ মিলিয়ন ইউরো প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ঋষি সুনাক।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সফরে যান। এসময় ঋষি সুনাক বলেন, ইউক্রেনের জন্য গভীরভাবে মর্মাহত তিনি। যুক্তরাজ্য সব সময় ইউক্রেনের পাশে আছে বলেও আশ্বস্ত করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্য পরষ্পরের শক্তিশালী মিত্র’।

রাশিয়ার বিমান হামলা ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের এই সহায়তা প্যাকেজ বলে জানা গেছে। ৫০ মিলিয়ন ইউরো প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহায়তার মধ্যে রয়েছে ১২৫টি বিমানবিধ্বংসী বন্দুক ও উচ্চ প্রযুক্তির কয়েকডজন রাডার এবং অ্যান্টি-ড্রোন ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম। এসব অস্ত্র ইরানের সরবরাহকৃত ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আরও ঘোষণা দিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়ে যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের সেনাদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এর আগে এ মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস ঘোষণা দেন এক হাজারের বেশি অ্যান্টি-এয়ার মিসাইল সহায়তা দেওয়ার।

ঋষি সুনাক সফরে গিয়ে ইরানের তৈরি ড্রোনও পর্যবেক্ষণ করেছেন। এর আগে, ১৯৩০ সালে হলডোমার দুর্ভিক্ষে ভুক্তভোগী ও যুদ্ধে নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন। পরে দেশটির ফায়ার সার্ভিসের জরুরি বিভাগের কর্মীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ঋষি সুনাক।

সম্প্রতি খেরসন থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় রাশিয়া। এরপর কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে দফায় দফায় বিমান ও মিসাইল হামলা শুরু করে দেশটি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার নতুন করে মিসাইল হামলার কারণে এক কোটির বেশি ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হামলায় নিহত হয়েছেন ৭ জন।

বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানী কিয়েভ, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ভিনিৎসিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমের ওদেসা বন্দর ও উত্তর-পূর্বের সুমির বাসিন্দারা। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

ইউক্রেনের আকাশ রক্ষায় মিত্রদের আরও সহযোগিতার আহ্বান জানান জেলেনস্কি। এরপরই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের এই সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণার খবর পাওয়া গেলো।

সূত্র: বিবিসি