ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

আ. লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ছিল না: শেখ হাসিনা

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ১৯, ২০২২

আ. লীগ ক্ষমতায় আসার আগে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ছিল না: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশের মানুষের ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার সকালে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দাহিলানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করি। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে, সেটা কিন্তু আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। বিএনপি যখন জামায়াতকে নিয়ে সরকার গঠন করে, তার পর থেকে দেশে হত্যা, খুন, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং— এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করেনি। ২০০১ এর নির্বাচন অথবা মাগুরা, ঢাকা-১০ এর উপনির্বাচনের কথা যদি কেউ স্মরণ করে, তাহলে বিএনপির আমলে নির্বাচনের নামে কী হতো, সেটা ওইটুকুই যথেষ্ট, যদি দেখেন। কথাই ছিল ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা। ভোটের বাকশে সিল মারা থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম হতো। তার জন্য আমরা স্বচ্ছ ভোটার বাকশো, ছবিসহ ভোটার তালিকা; কারণ ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে তালিকা করেছিল ২০০৬-এ নির্বাচন করতে বিএনপি। অবশ্য তাদের মুখে এখন খুব গণতন্ত্রের কথা শোনা যায়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করছে।'

'বাংলাদেশে ২০০৮ এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর একটানা ২০২২ পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। না হলে এত উন্নতি হতো না। আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই যথেষ্ট সাফল্য আনতে পেরেছি। আমাদের সময় সব দলই কিন্তু তাদের দল করার সুযোগ পাচ্ছে। সে ব্যবস্থাটা আমরা দিয়েছি', বলেন তিনি।

দেশের মানুষের কল্যাণ আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'হঠাৎ করে কেউ কেউ পারদর্শী হয়েছে, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনো রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা প্রবাসে যারা... যেহেতু কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে, যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। যেখানে বিএনপির আমলে '৯১ থেকে '৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা ৩ মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না। সেই অবস্থায় আমি সরকারে আসি। তখন আমরা কিছু উদ্যোগ নেই। তখন থেকে রিজার্ভ আমরা বাড়াতে শুরু করি। সেই থেকে রিজার্ভ আমরা বাড়িয়েছি। ২০০৮ এ যখন আসি, তখনো ৫ বিলিয়নের বেশি ছিল না। সেই ৫ থেকে ৪৮ বিলিয়নে তুলতে আমরা সক্ষম হয়েছিলাম। তা ছাড়া আমাদের যে লোন, বাংলাদেশ কোনো দিন ডিফল্টার হয়নি। আমরা সময়মতো লোন পরিশোধ করি।'