ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা লোপাট, সত্যতা জানতে চান হাইকোর্ট

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, নভেম্বর ১৯, ২০২২

ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা লোপাট, সত্যতা জানতে চান হাইকোর্ট
ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা লোপাটের সত্যতা জানতে চান হাইকোর্ট। বুধবার দৈনিক যুগান্তরের ‘ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা মিলেমিশে লোপাট’ শিরোনামে কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুর্নীতি নিয়ে একটি তথ্যবহুল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে এসেছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর কক্সবাজারে তোলপাড় চলছে।

প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান শান্তনা।

বিষয়টি আমলে নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্রতিবেদনের সত্যতা অনুসন্ধান করতে বলেছেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এমএ আজিজ খান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, হাইকোর্ট রাষ্ট্র ও দুদককে খবর নিতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আগামী ২০ নভেম্বর সংশ্লিষ্টদের আদালতে অগ্রগতি জানাতে হবে।

কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট এবং হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা মিলেমিশে লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো মাসিক চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাট কর্মকর্তাদের ঘুস দিয়ে নামমাত্র ভ্যাট প্রদান করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

কক্সবাজারের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্র। কিন্তু অসাধু ব্যবস্থাপনার কারণে রাষ্ট্রের নামে জনগণ থেকে আহরিত রাজস্ব সঠিকভাবে কোষাগারে যায় না। ফলে কক্সবাজার ঝুপড়িই থাকছে; কিন্তু বটোয়ারায় রাজস্ব লুন্ঠনে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কেউ কেউ। এসব বিষয় সচরাচর সবাই এড়িয়ে যায় বলে ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়। যুগান্তরের সাহসী পদক্ষেপের কারণে দেশবাসী কক্সবাজারের রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়টির সঠিকতা জেনেছে। নজরে আসায় উচ্চ আদালতও বিষয়টি তদারকির নির্দেশনা দিয়েছে; যা অনুপ্রেরণার।