বাংলাদেশে হাজার কোটি টাকা পাচারে অভিযুক্ত পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ফের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। আগামী ৮ ডিসেম্বর তাদের ফের আদালতে পেশ করবে ইডি।
সবশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর একই আদালতে তোলা হয়েছিল তাদের। এর ৫৬ দিন পর এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয় পি কে হালদারসহ গ্রেফতার ছয় জনকে।
এর আগে চলতি বছরের ১৪ মে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার হন পি কে হালদার, তার দুই ভাগনে, এক ভাই, বান্ধবী ও এক সহযোগী।
আদালতে তোলার আগে ইডির তদন্তকারীরা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পি কে হালদার চক্রের বেআইনি সম্পত্তি, পাচার করা অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্র জানার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে তার ওঠাবসা রয়েছে বা ছিল এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন তারা।
এদিন এসব বিষয়ের আরও জানার জন্য জন্য পি কে হালদারসহ পাঁচ জনকে আবারও হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় ইডি।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এমনকি পাসপোর্ট জাল করে অবৈধভাবে ভারতে থাকার বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই বা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করতে পারে। কারণ, ইডি কেবল অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে পারে।
এদিকে পি কে হালদারকে সোমবার বিধাননগর মহাকুমা হাসপাতালে রুটিন মেডিক্যাল চেকআপের পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে ফিরিয়ে আনা হয়। এ সময় লিফটের মধ্যে তিনি বলেন, ‘আমি দেশে ফিরতে চাই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।’