ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

ঢাবিতে কচুপাতা ও কলাপাতা হাতে বিক্ষোভ

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ১৫, ২০২২

ঢাবিতে কচুপাতা ও কলাপাতা হাতে বিক্ষোভ
কাগজসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কচুপাতা ও কলাপাতা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় মিছিল-পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, ঢাবি সংসদের আহ্বায়ক কাজী রাকিব হোসাইন প্রমুখ।

দীপক শীল বলেন, আজ আমাদের সর্ব অঙ্গে ব্যথা ঔষধ দেব কোথা! যে সেক্টরেই যাওয়া হোক না কেন সেখানেই সংকট। এর মাঝে নতুন করে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধিজনিত সংকট। আজ বাজারে কাগজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ছাপাখানার মালিকরা দায়ী করছেন মিল মালিকদের। মিল মালিকরা দায়ী করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে। এভাবে সংকট ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনা এসব সংকট নিয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব হস্তান্তর করুন। ১৫ দিনের মধ্যে বাজারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। স্বাধীনতার অঙ্গীকার ভুলে গেছে এ সরকার। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা আর ঘরে বসে থাকবে না। ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনের বীজ রোপিত হয়েছে। অনতিবিলম্বে শিক্ষা উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণ না করা হলে আমরাও শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করব। সুমাইয়া সেতু বলেন, বর্তমানে খাতা, কলম ও ক্যালকুলেটরসহ সব শিক্ষা উপকরণের দাম ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতনও অনেক বেড়ে গেছে। শিক্ষা উপকরণের মূল্য এমন বেশি থাকলে শিক্ষার্থীরা কীভাবে পড়াশোনা করবে? করোনা মহামারির কারণে সরকারের কথা ছিল-শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা দেওয়া হবে, বৃত্তি দেওয়া হবে এবং আবাসিক শিক্ষার্থীদের মিলের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু সরকার তা করেনি।

লাভলী হক বলেন, লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন নাকাল। আগে যে এক রিম খাতা আড়াইশ টাকায় কেনা যেত, এখন সেটি পাঁচশ টাকার বেশি। শিক্ষা উপকরণের দাম শিক্ষার্থীদের নাগালের বাইরে। কিন্তু তাদের অভিভাবকের বেতন তো বাড়েনি। প্রয়োজনে পড়া বাদ দেওয়া যাবে কিন্তু খাওয়া তো বাদ দেওয়া যাবে না। এটা আওয়ামী লীগের সুপরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাশূন্য করার চেষ্টা।