প্রথম দিনের চেয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার (১৪ নভেম্বর) পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। পুঁজি হারানোর ভয় ও আতঙ্কে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ৫১ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে বৃহস্পতিবার সূচক বৃদ্ধির পর নতুন সপ্তাহের প্রথম ও দ্বিতীয় কর্মদিবস দরপতন হলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, সোমবার বাজারে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের ৯ কোটি ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছে ৭১৪ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭২৪ কোটি ১৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১০ কোটি টাকা।
আজ লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ৬৪টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫১ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট কমে ৬১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্ট পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল জেনেক্স ইনফোসেসের শেয়ার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার। তৃতীয় স্থানে ছিল বেক্সিমকোর শেয়ার। এরপরের অবস্থানে ছিল রয়েল সি পার্ল টিউলিপ, বসুন্ধরা পেপার, নাভানা ফার্মা, আমরা টেকনোলজি, সামিট এলায়েন্স, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের শেয়ার।
অপর বাজার সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১০২ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার ৪০২ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৭১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
এদিন লেনদেন হওয়া ১৭৫টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০টির, কমেছে ৪৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।