টানা প্রায় ৯ মাস ধরে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া।
রুশ এই আগ্রাসনের কারণে ইউরোপজুড়ে যুদ্ধের দামামা, একই সঙ্গে চলছে সামরিক-বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানিও।
এ পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। খবর বিবিসির।
তবে সম্প্রতি দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন ফিরে পাওয়ার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধাপরাধের এ অভিযোগ তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহারের পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ খেরসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এর পর থেকে তদন্তকারীরা খেরসন অঞ্চলে গণকবরসহ ৪০০টিরও বেশি যুদ্ধাপরাধের আলামত উন্মোচন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তার দাবি, এ অঞ্চলে বেসামরিক ও সৈন্যদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে রুশ সৈন্যদের ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের হামলার টার্গেট করার বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে মস্কো।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে আগ্রাসন শুরুর পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর এবং বন্দরনগরী খেরসন দখল করে নেয় রাশিয়া।
এ ছাড়া প্রথম বড় কোনো ইউক্রেনীয় শহর হিসেবে খেরসন দখল করেছিলেন রুশ সেনারা। এর প্রায় দুই মাসের মাথায় খেরসনের পুরো অঞ্চলটি দখলে নেয় মস্কোর বাহিনী।
প্রায় তিন লাখ বাসিন্দার খেরসন শহর ও অঞ্চলটি রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দখলে যাওয়া মস্কোর জন্য বড় ধরনের বিজয় বলে মনে করা হয়েছিল। মূলত রুশ সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিও ছিল এ শহর।
তবে গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ইউক্রেনের দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের দিনিপ্রো নদীর পশ্চিমতীর থেকে রাশিয়ার সব সৈন্য প্রত্যাহার শেষ হয়েছে।
শুক্রবার রুশ সেনারা সেটি পরিত্যাগ করার পর শহরের বাসিন্দারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং শহরের কেন্দ্রে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের স্বাগত জানান।