Can't found in the image content.
ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ৪, ২০২১
২১
আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রায় ১২ অক্টোবর। সোমবার
ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম রায় ঘোষণার এই দিন ঠিক করেন।
এদিন
দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন।
অন্যদিকে
বাবরের পক্ষে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
যুক্তিতর্কের
শুনানিকালে কারাগারে থাকা বিএনপির সাবেক এ নেতাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে
তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাবর আত্মপক্ষ শুনানিতে
নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন না মর্মে জানান। এরপর বিচারক
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেন।
২০০৭
সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা
হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা এ চার্জশিট দাখিল
করেন।
চার্জশিটে
বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে।
তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ
সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯
হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ
করা হয়।
২০০৮
সাল থেকে কারাগারে থাকা এ আসামির একটি অস্ত্র মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তার
১৭ বছর কারাদণ্ড হয়। এরপর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়
ফাঁসির আদেশ হয়।