ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তারা এখনই জেলে যাওয়ার বিষয় ভাবতে শুরু করেছে। এটাতো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবে, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবে।
রবিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন জেলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে কেন? আপনি কেন বলেন- পালাবো না, আমরা জেলে যাব। এগুলো আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।
দলের বিভাগীয় সমাবেশের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সমস্ত বাধা অপেক্ষা করে চলে আসছে। বরিশালের সমাবেশে দুই দিন আগে লঞ্চ যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি খেয়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরিয়ে পর্যন্ত সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে।
সমাবেশ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ যখন বলে চেষ্টা করতে হবে এটা আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি এই সমাবেশগুলো থেকে। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছে। আমরা যে যেখানেই ছিলাম অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপীড়িত আমাদের দল।
ফখরুল বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয় সবাই একমত হয়েছি। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুতই আলোচনা করা হবে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আন্দোলনকে কীভাবে দমননীতি এবং মামলা দিয়ে বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা তারা শুরু করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনও হবে না। গত ১৫ বছর যাবত এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে তো দমিয়ে রাখতে পারেননি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি
মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদেরকে মন্ত্রী বানাতে হবে না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।
ফখরুল বলেন, বিশ্বাস করি, যদি আমরা একসাথে সামনে এগিয়ে যাই তাহলে অবশ্যই জয়ী হব।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সংকটে বিএনপি একা না। তাদের সঙ্গে সবাই আছেন। ডিসেম্বরের আগেই ঢাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় সরকার।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই।
এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কারস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।