রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই কিয়েভে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। যুদ্ধের জন্য নয়, সেখানে ন্যাটোর পাঠানো অস্ত্র বিতরণ পর্যবেক্ষণ করছে তারা।
মার্কিন বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রেইডার মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে মার্কিন সেনার উপস্থিতি সম্পর্কে এ কথা বলেন।
ব্রিগেডিয়ার জে. গ্যারিক হারমনের নেতৃত্বে ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসে ফিরে আসা কর্মীদের সহায়তায় পরিদর্শন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
এক কর্মকর্তা জানান, এমন পরিদর্শন পূর্বে চালনা করা হলেও ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
তবে এনবিসি নিউজ এখনো নিশ্চিত করেনি-ইউক্রেনে কতজন মার্কিন সামরিক সদস্য পরিদর্শন করছে? এখন পর্যন্ত কতটি পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে এবং পুনরায় প্রোগ্রামটি কখন চালু করেছে?
ইউক্রেনে পাঠানো অস্ত্র ও সামরিক সরাঞ্জমের শেষ ঠিকানা কালো বাজারে হবে- রাশিয়া ও কংগ্রেসের কিছু রিপাবলিকানদের এই উদ্বেগ খণ্ডনেই বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহে সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করে।
একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, তাদের আসল উদ্দেশ্য ব্যতিরকে এ অস্ত্র কালোবাজারির কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। তবুও পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিপার্টমেন্ট ঝুঁকি নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি প্রতিরোধের চেষ্টাও করছে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইউক্রেনে মার্কিন সেনারা অস্ত্র মজুত পরিদর্শন শুরু করেছে। সংবাদমাধ্যম এনবিসি বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম। মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি ডটকমের প্রতিনিধি ট্র্যাভিস ট্রিটেন প্রশ্ন রাখেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে যে মার্কিন সেনারা অস্ত্র পরিদর্শন করছেন, তাদের জড়িত থাকার নিয়মগুলো কেমন হবে?
তারা যদি রুশ বাহিনীর লক্ষ্যে পরিণত হয় বা তারা যদি চলমান যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন? জবাবে জেনারেল রেইডার বলেন, আমাদের দূতাবাস কর্মীদের নিয়ে গঠিত ছোট্ট একটি দল বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানে দেখভাল করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বোঝাপড়া হলো তারা যেকোনো ধরনের সম্মুখ সমর থেকে বহু দূরে থাকবে। আর আমরা এটি করছি ইউক্রেনীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে। আমরা তাদের ওপর নির্ভর করছি... তারা (মার্কিন সেনা) সামনের সারিতে কাজ করবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার যে, ইউক্রেনে আমাদের কোনো যুদ্ধবাহিনী নেই, ইউক্রেনে কোনো মার্কিন সেনা যুদ্ধ পরিচালনা করছেন না। তারা এমন কর্মী, যারা শুধু প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় নিযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যুত্তরে ট্রিটেন আবারও প্রশ্ন রাখেন, তারা কিন্তু দূতাবাসের বাইরে কাজ করছেন। আমি শুধু এটুকু জিজ্ঞাসা করব, এই সেনা উপস্থিতি চলমান উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে কিনা? জবাবে রেইডার বলেন, মার্কিন পদক্ষেপটি উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য নয়।