জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, লুটপাটের এই সরকার আর কয়দিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের সব অর্জন রসাতলে যাবে।
ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ হাতছানি দিতে শুরু করেছে। মানুষ না খেয়ে আছে। বিদ্যুৎ নাই, গ্যাস নাই, পানি নাই, ব্যাংকে টাকা নাই, মানুষের পেটে ভাতও নাই। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের অধিকার রক্ষায়, তাদের রুটি-রুজি নিশ্চিত করতে, তাদের ভোটাধিকার-মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। এখান থেকেই সরকার পতনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার মহাসমাবেশ উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
টুকু বলেন, বিএনপিতো এখনো আন্দোলন শুরুই করেনি। অথচ তাতেই সরকারের মধ্যে কাপুনি শুরু হয়ে গেছে। তারা আবোল তাবোল বকতে শুরু করেছে। ভীত হয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু এই হামলা-মামলা দিয়ে বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে ব্যাহত করা যাবে না। এবারের লড়াইটা দেশকে রক্ষার, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অস্তিত্বের লড়াই।
সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না বলেন, এই সরকারের পতনের জন্য সবাইকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সফল করতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। সেই আন্দোলনে তিনি সবার আগে থাকবেন। অবৈধ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে না হটিয়ে তারা কেউ ঘরে ফিরবেন না। মহাসমাবেশকে বাধা দিতে সরকার অনেক কৌশল নিবে, বাধা দিবে, নাটক করবে। কিন্তু সবকিছুকে অতিক্রম করে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ হবে ওইদিন। সেই প্রস্তুতি নিন।
সভায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ সভাপতি পদ মর্যাদার দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহীনসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীারা উপস্থিত ছিলেন।