প্রথমবারের মতো একে অপরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উভয়পক্ষেরই জলসীমা অতিক্রম করে আছড়ে পড়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমা অতিক্রম করার জবাবে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে সিউল।
জানা গেছে, বুধবার (২ নভেম্বর) একসঙ্গে ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং উনের শাসনামলে একদিনে সর্বোচ্চ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা এটি। এর মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমা অতিক্রম করে সকচো শহর থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে আছড়ে পড়ে।
এটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অনুপ্রবেশ উল্লেখ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় দক্ষিণ কোরীয় সামরিক বাহিনী। এর তিন ঘণ্টা পরেই পাল্টা জবাবে উত্তর কোরিয়ার দিকে তিনটি এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে সিউল। সেগুলো উত্তর সীমারেখার (এনএলএল) ওপাশে একই দূরত্ব অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ার ভেতর গিয়ে পড়ে।
সীমারেখাটি উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সমুদ্রের মধ্যবিন্দুকে চিহ্নিত করে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া কখনোই এই সীমানা মেনে নেয়নি।
মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে গেলে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মূল্য’ দিতে হবে। এটিকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের পরোক্ষ হুমকি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
পাঁচ বছরের বিরতির পর উত্তর কোরিয়া শিগগির পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা আবার শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দারা বলছেন, পিয়ংইয়ং এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।