ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ল্যাপটপ চুরির পর ই-মেইলে দরকারি নথি ফেরত দিলেন চোর!

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ১, ২০২২

ল্যাপটপ চুরির পর ই-মেইলে দরকারি নথি ফেরত দিলেন চোর!
পেটের টানে বাধ্য হয়ে চুরি করতে হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নীতিবোধ হারিয়ে ফেলেনি চোর (thief)। তাই চুরির জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা (Apologise) করে ই-মেল পাঠাল (sends email)। শুধু তাই নয়, বহু পরিশ্রমে তৈরি ল্যাপটপ মালিকের গবেষণার প্রস্তাবনাটি সে ই-মেলে অ্যাটাচ করে দিয়েছে। আরও কিছু ফেরত লাগলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জানানোর কথাও বলেছে ওই ব্যক্তি। মহান চোরের কাণ্ডে তাজ্জব নেটিজেনরা।

সম্প্রতি জুয়েলি থিক্সো নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এই ঘটনা শেয়ার করেছেন নেটমাধ্যমে। তিনি জানিয়েছেন, আগের রাতেই তাঁর ল্যাপটপটি চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তি। তারপর তাঁরই ই-মেল আইডি ব্যবহার করে মেল মারফত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে মহানুভব সেই চোর।

ওই পোস্টে ক্ষমাপ্রার্থনা করা সেই ই-মেলের স্ক্রিনশটও জুড়ে দিয়েছেন জুয়েলি। তিনি লিখেছেন, ‘আমার এখন মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে।’

স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে, মহান সেই চোর লিখেছে, ‘ভাই, আমি গতকাল তোমার ল্যাপটপটা চুরি করেছি। আমার টাকার খুব প্রয়োজন ছিল, কারণ আমার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গিন । আমি দেখলাম যে তুমি একটা গবেষণার প্রস্তাবনা নিয়ে খুব খাটাখাটনি করেছ। আমি ওই ফাইলটা এখানেই পাঠিয়ে দিচ্ছি। যদি অন্য আরও কোন ফাইল তোমার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে সোমবার দুপুর বারোটার মধ্যে জানিও, কারণ আমি ইতিমধ্যেই একজন খরিদ্দার পেয়ে গেছি।’
মেলের সাবজেক্ট লাইনে লেখা ছিল, ‘ল্যাপটপ চুরির জন্য দুঃখিত।’



নেটিজেনরা কেউ কেউ যেমন ঘটনাটিতে অত্যন্ত মজা পেয়েছেন, তেমন অনেকেই ল্যাপটপ চুরি করা ওই ব্যক্তির জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘উনি যে খরিদ্দার পেয়েছেন, তাঁর মতো একই প্রস্তাব দিচ্ছেন না কেন ওঁকে?’ অর্থাৎ, উক্ত খরিদ্দারের বদলে জুয়েলি নিজেই ওই চোরের কাছ থেকে ল্যাপটপটি কিনে নিতে পারেন, সেকথাই বোঝাতে চেয়েছেন ওই ব্যক্তি।

অন্য এক নেটিজেনদের দাবি, ‘যদি কেউ ছেলেটিকে একটা চাকরি যোগাড় করে দিতে পারেন, তাহলে দয়া করে বিষয়টি দেখুন। ছেলেটি ল্যাপটপটি ভাল করে ঘেঁটে দেখেছে, এবং গবেষণার প্রস্তাবনার পিছনে যে কতটা পরিশ্রম আছে, তা বুঝেছে। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি ওকে একটা চাকরি দিতাম।’
অন্য একজনের মন্তব্য, ইনি একজন সম্মানীয় চোর, যিনি পেটের দায়ে চুরি করলেও নীতিবোধ হারিয়ে খারাপ মানুষে পরিণত হননি। ‘চুরির পরেও আপনার ক্ষতি যথাসম্ভব কমানোর চেষ্টা করেছে সে, বিষয়টি আমার মতে খুব সুন্দর,’ দাবি তাঁর।