ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

সরকারের ডাকাতির ফসল লোডশেডিং - ড. খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ২৮, ২০২২

সরকারের ডাকাতির ফসল লোডশেডিং - ড. খন্দকার মোশাররফ
বর্তমান লোডশেডিংকে সরকারের ডাকাতির ফসল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এর যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একুশের পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর নবম মৃতু্বার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বৈরশাসনে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে বিদ্যুতের অবস্থা, লোডশেডিং পরিস্থিতির কী অবস্থা আপনারা তা জানেন। বিদ্যুতখাতে ডাকাতি করার জন্য, চুরি করার জন্য এদেশের কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের স্থায়ী ব্যবস্থা তারা করেছে। বিদ্যুতের বিষয়ে কেউ যাতে কিছু বলতে না পারে, আইনের আশ্রয় না নিতে পারে সেজন্য তারা পার্লামেন্টে ইনডেমনেটি আইন পাস করে বিদ্যুতে সেক্টরে ডাকাতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। সেই ডাকাতির ফসল হচ্ছে আজকে বাংলাদেশের এই লোডশেডিং। আজকে গ্রামে-গঞ্জের ১২/১৪ ঘন্টা বিদ্যুত থাকে না, শহরে ৪/৬ ঘন্টা বিদ্যুত থাকে না। এই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, লোডশেডিংকে তিনি মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাহলে কেনো বিদ্যুতের এই লোডশেডিং –জনগনের এই প্রশ্নের জবাব সরকারকেই দিতে হবে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকারের পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যার করার জন্য দায়ী, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির জন্য দায়ী, দেশ থেকে টাকা পাচারের জন্য দায়ী, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য দায়ী, ডলার পাচারের জন্য দায়ী তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে এই সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।

আজকে এটা বিএনপি কিংবা বিরোধী দল বা কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের কথা নয়। এটা সারাদেশের মানুষের দাবি যে, এই সরকারকে হটানো ছাড়া, এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো ছাড়া বাংলাদেশে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান ব্যাতি রেখে বর্তমান সংকট উত্তরণ সম্ভব হবে না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে জনগণ প্রস্তুত। আপনারা দেখেছেন বিএনপির বিভিন্ন সমাবেশে কিভাবে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটাকে কী গণতান্ত্রিক দেশ বলতে পারেন? আমি খুলনার বিভাগীয় সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। দুইদিন আগে বাস-লঞ্চসহ সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি দুইদিন আগে নদীর ওপার থেকে নৌকায় করে মানুষ এপারে আসবে সেটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। খুলনায় জনগণের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিলো। এরা সবাই আমাদের নেতা-কর্মী ছিলো না, সাধারণ মানুষও ছিলো। প্রত্যেকটি জনসমাবেশে সাধারণ মানুষ নেমে আসছে।

গিয়াস কামাল চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরে গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলনে গণমাধ্যমে সহযোগিতা চান খন্দকার মোশাররফ।

বিএফইউজের সভাপতি এম
আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বিএফইউজের রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, নুরুল আমিন রোকন, মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজের কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মুরসালিন নোমানীসহ ডিইউজের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।